সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেপর্দায় শত্রু দমনে 'ঝুঁকতে' দেখা যায়নি 'পুষ্পা' ওরফে আল্লু অর্জুনকে। গুলি চলেছে, বোম ফেটেছে। তবুও পুষ্পা 'ঝুঁকেগা নেহি'। 'পুষ্পা ২'-তে সাহস দশগুণ বাড়িয়ে 'ফায়ার নয়, ওয়াইল্ড ফায়ার'। কিন্তু দেখুন, সিনেপর্দায় পুলিশের হাতে পরাস্ত না হলেও, বাস্তবে শেষমেষ পুলিশ, আইনের কাছে মাথা নিচু করতেই হল 'পুষ্পা' আল্লু অর্জুনকে। সাদা হুডিজ টিশার্টে স্ফুলিঙ্গ ফুটলেও, থানায় দাঁড়িয়ে 'পুষ্পা'র তেজ কম। আর তাই তো, শনিবার সকাল সকাল জেল থেকে বেরিয়ে আল্লু অর্জুনের গলায়, একটাই সুর, ' আমি দুঃখিত, শোকাহত। আইনকে সম্মান করি, তদন্তে সহযোগিতা করব'।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ আল্লু অর্জুনকে যখন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখনও আল্লু অর্জুনের শরীরী ভঙ্গিমায় 'পুষ্পা'র ছাপ। পুলিশের সামনেই নায়কের ভঙ্গিতে এক কাপ কফিতে চুমুক, স্ত্রীয়ের গালে চুমু। তারপর বিকেল গড়ায় জামিন পেতে। তবে শুক্রবার জামিন পেলেও, একরাত আল্লুকে থাকতে হল জেলে। শনিবার সকালে জেল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আসতেই 'পুষ্পা' মেজাজ আগের থেকে অনেক ঠান্ডা। 'পুষ্পা'র মুকুট পাশে রেখে হাতজোড় করে আল্লু বললেন, ''মৃতার পরিবারের প্রতি আমি সমব্যথিত। গোটা ঘটনায় খুবই শোকাহত। দেশের আইনকে সম্মান করি। কথা দিচ্ছি এই দুর্ঘটনার তদন্তে সব সাহায্য করব।''
এদিকে আল্লুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মৃতার স্বামী ভাস্কর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত আমি। আমি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানতাম না। আর সেদিন পদপিষ্ট হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে ওঁর তো কোনও হাত নেই।” মহিলার মৃত্যুর খবর কানে যেতেই ভিডিও বার্তায় শোক প্রকাশ করেছিলেন আল্লু। মৃতার পরিবারকে নাকি তিনি ২৫ লক্ষ টাকাও দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাঁর আহত ছেলের চিকিৎসার দায়িত্বও বহন করেন সুপারস্টার।