দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর :মায়ের মৃত্যু হয়েছিল আগেই। হাসপাতালে চিকিৎসা করেও বাঁচানো গেল না বাবা-মেয়েকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরিবারের তিনজনই মৃত্যুমুখে পড়লেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকায়। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে আর্থিক প্রতারণার কথা লেখা ছিল। তিনজনেরই মৃত্যুর পর এখন তদন্তের জন্য পুলিশের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই সুইসাইড নোট।
পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নরেন্দ্রপুরের লস্করপুরের দীপক রায়, জলি রায় ও তাঁদের কন্যা দিশানী। বৃহস্পতিবার তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই জলি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসাধীন ছিলেন বাবা-মেয়ে। তবে তাঁদেরও শেষমেশ বাঁচানো গেল না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লস্করপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন দীপক রায়, তাঁর স্ত্রী জলি রায় ও তাঁদের একমাত্র কন্যা দিশানী। দীপকবাবু মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলেন। পরে চাকরি হারান। বাড়িতেই মুদিখানার দোকান খুলে আয়ের সংস্থান করেন। কিন্তু তাতেও চলছিল না সংসার। আর্থিক অনটনের কারণে মেয়ের কলেজের পড়াশোনাও চালানো সম্ভব হয়নি। এর পর ছিল বেআইনি আর্থিক লেনদেনের প্রবল চাপ। সবমিলিয়ে তীব্র মানসিক অশান্তি থেকেই তিনজনের একসঙ্গে আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানতে পেরেছিল, দেবব্রত সরকার নামে কোনও এক ব্যক্তি এই লেনদেন করিয়েছিলেন। তার সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।