সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর নির্যাতন বন্ধ হোক। হাসিনা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে এমনটাই আরজি জানাল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সরকারকে লেখা চিঠিতে অ্যামনেস্টির বক্তব্য, “পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ করেছেন। মামলার কারণে তাঁকে এখনও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এক বছর হয়ে গেলেও রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তিনি যেন আর হয়রানির শিকার না হন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো যেন প্রত্যাহার করা হয়, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম]
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গত বছরের ১৭ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিবালয়ে রোজিনা ইসলামকে আটকে ছ’ঘণ্টা হেনস্তা করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়। এক সপ্তাহ কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হন রোজিনা ইসলাম। তারপরও তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।বলে রাখা ভাল, নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন রোজিনা ইসলাম। করোনাকালে তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য নেদারল্যান্ডসের অ্যামস্টারডাম ভিত্তিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড তাঁকে ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ দেয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আওয়ামি লিগ (Awami League) , বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা রোজিনার মুক্তির দাবি জানান। জয়া আহসানের মতো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের তারকা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক মহলেও তাঁকে মুক্তির দাবি ওঠে। আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন রোজিনা। তবে পাসপোর্ট জমা রাখতে হয়েছে তাঁকে। নিজের পেশার স্বার্থে সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে বিপদে পড়েন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য বাংলাদেশে জনপ্রিয় রোজিনা। অভিযোগ, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনার জন্য একাংশের রোষানলে পড়েছেন তিনি।