সুকুমার সরকার, ঢাকা: সেনা অভিযানের মুখে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এবার ভারত থেকেও বহু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বাবার নামে বিদ্যুতের বিল আসে বাংলাদেশের বাড়িতে]
পড়শি দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ‘অনুপ্রবেশ’কে দুর্ভাগ্যের বিষয় বলে অভিহিত করেছেন বিদেশমন্ত্রী মোমেন। মঙ্গলবার ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, “সম্প্রতি ভারত থেকে দুর্ভাগ্যবশত অনেক রোহিঙ্গা আসছে। এই রোহিঙ্গারা ২০১২ সালে সেখানে গিয়েছিল। সে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছিল। এখন তারা দলে দলে আমাদের দেশে ঢোকার চেষ্টা করছে।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রায় ৪ হাজার ২০০ কিলোমিটার সীমান্ত। তারা বিভিন্নভাবে এ দেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। এটি একটি দুশ্চিন্তার কারণ।”
২০১৭ সালে মায়ানমারে সেনা অভিযানের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা। মানবিকতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিবিরে প্রতিবছর ৩৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করছে। ফলে জনবিস্ফোরণের ইঙ্গিত প্রকাশ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা কিছু রোহিঙ্গা (ভারত থেকে আসা) আটকও করেছি। তাদের আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেছে, কক্সবাজারে ভাল খাওয়া দাওয়া পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে অনেক বছর ধরে কষ্টে আছি।” তিনি বলেন, “তাদের মায়ানমারে যাওয়া উচিত। তারা মায়ানমারের বাসিন্দা। ওখানে যায় না। আমাদের এখানে আসে।”
কতজন রোহিঙ্গা এভাবে ভারত থেকে এসেছে জানতে চাইলে বিদেশমন্ত্রী মোমেন বলেন, “বেশকিছু। এর মধ্যে ১৮ জনকে ধরা হয়েছে। দফায় দফায় তারা আসছে। তারা যাতে না আসতে পারে সে জন্য আমাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করতে হয়েছে।” আবদুল মোমেন জানান, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত, চিন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, আসিয়ান চেয়ারম্যান কম্বোডিয়া-সহ সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে আসন্ন যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক ছাড়াও অন্যান্য ফোরামে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের এ দেশে আসার বিষয়টি তুলে ধরবে।