সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমারে (Myanmar) সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। মানবিকতার খাতিরে শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও প্রচণ্ড আর্থিক চাপে নুয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে এই সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
[আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার মূলচক্রী জিয়াউর রহমান’, বিস্ফোরক অভিযোগ সেতুমন্ত্রী কাদেরের]
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার পথ তৈরি করতে এর আগেও একাধিকবার আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবার ১৫ জুন রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি: সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের অবস্থা’ শীর্ষক এক ভারচুয়াল আলোচনায় নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপের আবেদন জানান বিদেশমন্ত্রী মোমেন। ওই ভারচুয়াল আলোচনার সহ-আয়োজক ছিল কানাডা, সৌদি আরব ও তুরস্কের স্থায়ী মিশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট’। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি ভলকান বজকির উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে তাঁর সাম্প্রতিক কক্সবাজার সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বিদেশমন্ত্রী মোমেন মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে মায়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিন জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ও তাঁদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্বদেশে ফেরাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়া বাংলাদেশ-সহ সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক সমস্যা সমাধানেও মায়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে মুখে বললেও এখনও পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়নি পড়শি দেশটি। ঢাকা বারবার আবেদন জানালেও নাইপিদাওয়ের তরফে কোনও জবাব মেলেনি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। হাসিনা প্রশাসন মনে করছে, রাষ্ট্রসংঘ পদক্ষেপ করলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে মায়ানমার।