সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন (Bangladesh Election) বাংলাদেশে। তার আগে 'জোট' ভেঙে সম্মুখসমরে বিএনপি-জামাত। সোমবার থেকে ছয় দিন ব্যাপী দেশগঠন কর্মসূচি শুরু করেছি বিএনপি। দলীয় কর্মসূচির উদ্বোধনী সমাবেশে চাঁচাছোলা ভাষায় জামাত-ই-ইসলামীকে আক্রমণ করলেন খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির কার্যনির্বাহী চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে জামাত। যা দেশ কখনই ভুলবে না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বরাবর শেখ হাসিনা বিরোধী বৃহত্তম শক্তি ছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। হাসিনা বিরোধিতার প্রশ্নে বারবার জামাতকে পাশে নিয়েছে খালেদার দল। কার্যত ধর্মীয় মৌলবাদী দল জামাতকে ফ্রাঙ্কেস্টাইনের মতো নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে বিএনপি। যদিও দেশ থেকে হাসিনা বিদায়ের পর বুড়িগঙ্গার তীরে রাজনৈতিক অঙ্ক বদলে গিয়েছে। মহম্মদ ইউনুসের প্রধান পরামর্শদাতা জামাত। এই অবস্থায় যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে, তত বিএনপি-জামাত দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। কারণ জামাত আর বিএনপির পরোয়া করছে না। বরং কট্টরপন্থার তাস খেলে এককভাবে ক্ষমতায় আসতে চাইছে তারা।
বাতাসে 'বারুদে'র গন্ধ পেয়েই সুর বদলাচ্ছে বিএনপি। সেই সূত্রে সোমবার খালেদাপুত্র তারেক বলেন, "যারা আজ জনগণের সমর্থন চাইছে, এই দেশের মানুষ তাদের ১৯৭১ সালে দেখে ফেলেছে। তারা কেবল লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেনি, তাদের সহযোগীরা অসংখ্য মা-বোনকে নির্যাতন করেছে। আমাদের এটা কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।” তারেক দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, "কীভাবে জামাত নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশীকে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানি) হত্যা করেছিল, তা আমাদের ভোলা উচিত নয়।" খালেদাপুত্রর দাবি, "খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। একমাত্র জনগণের সাহায্যে বিএনপি-ই এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে পারে।" বলা বাহুল্য, পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক অঙ্ক ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
