সুকুমার সরকার, ঢাকা: জনগণের প্রবল দাবির মুখে আট মাস পর ফের চালু হল ঢাকাগামী (Dhaka) ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ ১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে যশোর জেলার সীমান্ত থানা বেনাপোল (Benapole) থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। বেনাপোলের ব্যবসায়ী ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আজিজুল ইসলাম জানান, ”ব্যবসার কাজে প্রতি মাসে ঢাকায় যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ থাকায় বাসে অথবা প্লেনে যাতায়াত করতে হতো।” কিন্তু আবার বেনাপোল এক্সপ্রেসটি (Benapole Express) পুনরায় সচল হওয়ায় খুশি তিনি।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দেশনায় করোনা (Corona virus) সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ আট মাস বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ ছিল। তবে করোনা সংক্রমণের হার কমায় বৃহস্পতিবার আবার বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সচল হয়েছে। আগে এই রুটে যে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলত, সেই কোচ ইন্দোনেশিয়ার তৈরি। আর এখন যেটা চলছে,তা ভারতের তৈরি কোচ।
ভারতগামী বিশেষ করে রোগীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধন করেন। সেসময় থেকে ইন্দোনেশিয়ার তৈরি ৮৮৬ আসন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসটি চলাচল করছিল। কিন্তু গত বছর মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাবের জেরে ওই মাসের শেষের দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ভারতগামী যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ও করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের ১৭ জুলাই ফের বেনাপোল এক্সপ্রেস চালু হয়।
তবে পরবর্তীকালে ফের মহামারীর দাপট বাড়তে থাকায় ফের চলতি বছরের এপ্রিলে এসে আবারও বন্ধ হয়ে যায় বেনাপোল এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনটিতে ১২টি কোচের মধ্যে কেবিনে ছিল ৪৮ আসন, এসি চেয়ার ছিল ৭৮টি ও বাকি ৭৬০টি নন এসি চেয়ার ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে ট্রেন দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস পুনরায় চালু করা হয়েছে, এতে কোনও এসি কোচ নেই। এই ট্রেনটির আটটি কোচে ৪৮টি কেবিন আসন আছে। বাকি ৭৪৫টি নন এসি চেয়ার। ভাড়া প্রতিটি চেয়ারে ৪৮৫ টাকা ও কেবিন প্রতি আসন ১১১৬ টাকা। বেনাপোল থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা। সেখানে ট্রেনে নির্বিঘ্নে সাড়ে সাত ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছনো যায়। সপ্তাহে একদিন, বুধবার বাদে প্রতিদিন দুপুর পৌনে ১ টায় বেনাপোল এবং রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর থেকে ছাড়বে বেনাপোল একপ্রেস।