সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে উত্তাল বাংলাদেশ। এর মধ্যেই গ্রেপ্তার হলেন প্রভুর দুই হিন্দু শিষ্য। জেলে তাঁকে খাবার দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এর পরই ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেখতে দেখতে পাঁচ দিন হয়ে গেল হিন্দু ঐক্যজোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সে দেশের সনাতনীরা। পালটা সরকারি মদতে হিন্দুদের উপর নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। এই অবস্থায় সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চিন্ময়কে জেলে খাবার পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি দেয় তাঁর ভক্তদের। কোনও বৈষ্ণব রাঁধুনির রান্না করা খাবার যাতে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেজন্য একটি পারমিটও ইস্যু করা হয়। এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা চিন্ময়ের স্পেশাল সেলে খাবার পৌঁছেও যায়। অভিযোগ, সেই খাবার এবং ওষুধ পৌঁছে দিতে গিয়েই গ্রেপ্তার হন তাঁর দুই সঙ্গী। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসকনের আর এক সন্ন্যাসী স্বরূপ দাসকেও।
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ইসকনের তরফে জানানো হয়, “কয়েক মাস আগেই প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস এবং চট্টগ্রাম পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের সাংগঠনিক পদ-পদবী-সহ যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চিন্ময় দাস ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত।” ইসকন স্পষ্ট জানায়, চিন্ময় কৃষ্ণ ইসকনের সঙ্গে আর যুক্ত নন। তাই তাঁর অনুগামীদের আন্দোলনের জন্য ইসকন দায়ী নয়। ইসকনের ওই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই প্রচার শুরু হয় চিন্ময় কৃষ্ণর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে ইসকন। এর পরই ইসকনের তরফে নতুন বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিন্ময়কৃষ্ণের আন্দোলন, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য তাঁর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ইসকন। তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।