shono
Advertisement

ককটেল, পেট্রল বোমা বিস্ফোরণ, বাংলাদেশে হিংসার আবহেই দ্বিতীয় দফা পুরভোট

আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ, ভোট বয়কট বিএনপি প্রার্থীদের একাংশের।
Posted: 02:39 PM Jan 16, 2021Updated: 02:39 PM Jan 16, 2021

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা আবহে কয়েক দফায় পুরভোট চলছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছিল তুলনামূলক শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু শনিবার দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই অশান্তির খবর মিলেছে। দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা বরগুনায় পুরসভা নির্বাচনের ঠিক আগের রাতে ঘটেছে ককটেল (Cocktail) বিস্ফোরণ। ককটেল বোমা ফেটেছে শাসকদল আওয়ামি লিগের মেয়র প্রার্থীর অস্থায়ী কার্যালয়ের কাছে। তার আগে ভোটের প্রচারে গিয়ে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই। নিহত লিয়াকত হোসেন বল্টু নিজেও আওয়ামি লিগের নেতা। বেলা বাড়তে থাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবরও মিলেছে।

Advertisement

শনিবার বাংলাদেশের ৬০ টি পুরসভায় দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এর মধ্যে ২৯টি পুরসভায় ইভিএমে এবং ৩১টিতে কাগজের ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভোটগ্রহণ পর্বের শুরু থেকেই নানা জায়গা বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে। ফেনি জেলার দাগনভূঞাঁ পুরসভার অন্যতম ভোটকেন্দ্র গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে সকালে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাতে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আরিফুল নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের পাশে থাকায় জখম হয়েছেন তারেক হোসেন ও সুজন নামে দুই ছাত্রলিগ কর্মী। বাগেরহাটে সুরুজ মিয়া নামের এক ভোটার অভিযোগ করেন, ভোট দিতে যাওয়ার পথে তাঁকে এবং তাঁর বাবা-মাকে মারধর করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদকে অব্যাহতি]

অন্যদিকে, বাগেরহাট জেলার মোংলা পোর্ট পুরসভার বিদায়ী মেয়র ও বিএনপি প্রার্থী আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট করেছেন। প্রতিবাদে শামিল বিএনপি’র আরও ১২জন কাউন্সিলর প্রার্থীও। এক প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রের আশপাশে অস্ত্রের মহড়া চলছে। এর প্রতিবাদে তাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা করেছেন।

[আরও পড়ুন: করোনা টিকা আমদানি ও প্রয়োগ করতে পারবে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলিও]

দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের উপর হামলা, পেট্রল বোমা নিক্ষেপ-সহ নানা ঘটনায় ওইসব এলাকার প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। ভোটের সময় সংঘর্ষের বিষয় মাথায় রেখেই বিপুল সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে প্রথম দফায় ২৩ টি পুরসভায় মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হলেও, একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। দ্বিতীয় ধাপে সংঘাত, হিংসা বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ, হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement