সুকুমার সরকার, ঢাকা: নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশ পুলিশের দুই কনস্টেবল। তাঁদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিখোঁজ পুলিশকর্মীরা কোনও বিপদে পড়েছেন নাকি স্বেচ্ছায় গা ঢাকা দিয়েছেন, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ডগ স্কোয়াড গঠনের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। প্রস্তাব অনুযায়ী, নগর পুলিশে দু’টি ভিন্ন প্রজাতির ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর যোগ হবে। এর মধ্যে ৮টি জার্মান শেফার্ড ও ১২টি ল্যাব্রাডার। কুকুর সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পায় মেসার্স রিফা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী ‘ম্যানেজমেন্ট, হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ট্রেইনিং অফ ডগ’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আট সদস্যের পুলিশের একটি প্রতিনিধিদলট নেদারল্যান্ডসে যায়। ওই দলেরই সদস্য কনস্টেবল মহম্মদ শাহ আলম ও রাসেল চন্দ্র দে নিখোঁজ। প্রশিক্ষণ শেষে গত মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন দলের বাকি ছয় সদস্য।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া, সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ তরুণীর]
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মহম্মদ তানভীর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, নগর পুলিশের ডগ স্কোয়াড পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিতে ৯ মে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন দুই কনস্টেবল হোটেল থেকে বের হন। এরপর তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরকে জানানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, “তাঁদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দূতাবাসের মাধ্যমে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মহম্মদ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ওই দলে ছিলেন একজন উপপরিদর্শক (এসআই-সশস্ত্র), একজন নায়েক ও পাঁচজন কনস্টেবল। দু’জন নিখোঁজের বিষয়ে বেলায়েত হোসেন কিছু বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) কামরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমে জানান, প্রকৃত ঘটনা কী তা জানার চেষ্টা চলছে। নিখোঁজ পুলিশকর্মীরা কোনও বিপদ পড়েছেন, নাকি স্বেচ্ছায় তাঁরা বিদেশে রয়ে গেছেন, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা জানার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।