দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ডোমকল, গোয়ালপোখরের পর কুলতলি। ফের আক্রান্ত পুলিশ। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানো নিয়ে বচসা। তাঁর জেরে কর্তব্যরত পুলিশকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ঘটনায় দুই অভিযুক্ত সুখেন দাস ও স্বপন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি জামতলা বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। চার বন্ধু গাড়ি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় ওই এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চার বন্ধু চা খেতে নেমেছিলেন। রাস্তার উপর গাড়ি রাখায় যানজট দেখা দিয়েছিল। ওই গাড়ি সরানোর কথা বলতে সেখানে উপস্থিন হন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। গাড়ি সরাতে বললেই মেজাজ চড়িয়ে ওঠেন ওই যুবকরা।
রাস্তার মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যেই ওই দুই যুবক পুলিশের গায়ে হাত তোলেন। পুলিশকে গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষণিকের মধ্যেই ওই জায়গায় অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা চলে আসেন। মারধর ও হামলার অভিযোগে সুখেন দাস ও স্বপন দাসকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃতরা বারুইপুরের উত্তরভাগ এলাকার বাসিন্দা। থানায় ধৃতরা তাঁদের দোষ কবুল করেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, ওই যুবকরা মদ্যপ ছিলেন। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদও জানান উপস্থিত সাধারণ মানুষ। আজ সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে খবর। দিন কয়েকের মধ্যে রাজ্যের আরও দুই জায়গায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন এক আসামী। পরে তিনি এনকাউন্টারে মারা যান। মুর্শিদাবাদের ডোমকলেও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় পলাতক মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।