shono
Advertisement

বিয়েতে রাজি ছিল না পরিবার, একই গাছে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী নদিয়ার দুই স্কুল পড়ুয়া

দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না পরিবার।
Posted: 09:48 AM Sep 22, 2022Updated: 09:48 AM Sep 22, 2022

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বিয়েও করতে চেয়েছিল। কিন্তু পাত্র-পাত্রী দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক, বাড়ি থেকে এখনই বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই একই গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল নাবালক এবং নাবালিকা। বৃহস্পতিবার সকালে দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমেছে নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট থানা এলাকায়।

Advertisement

তেহট্টের নাতনা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সজল মণ্ডল। দেবনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বিজয়া বিশ্বাস। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল তারা। বিয়েও করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছেলেমেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই বিয়ে দিতে রাজি হয়নি পরিবার। তাদের আশঙ্কা ছিল, এখন দুজনের বিয়ে দিলে আইনি ঝঞ্ঝাটে জড়াতে হবে। এদিকে একে অপরকে ছেড়ে থাকতে রাজি ছিল না কেউ। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নিল তারা।

[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় জনসংযোগে জোর তৃণমূলের, পাড়ার ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে নির্দেশ অভিষেকের]

জানা গিয়েছে, তেহট্ট থানার রামজীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা সজল এবং একই থানার অন্তর্গত সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজয়া। পরিবার বিয়ের কথা মানতে না চাওয়ায় বুধবার দুজনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। সারারাত তাদের হদিশ মেলেনি। এদিন সকালে করিমপুর থানার অন্তর্গত মহিষবাথান এলাকায় ঝুলন্ত অবস্থায় দুজনের দেহ উদ্ধার হয়। একই গাছ থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তারা। খবর যায় করিমপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে করিমপুর হাসপাতালে পাঠায়। দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এদিকে সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর তেহট্ট এলাকার দুই পরিবার। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। সন্তান হারিয়ে তাদের বিলাপ, আইনের কথা না ভেবে সন্তানদের আবদার মেনে নিলেই পারতাম। তাহলে কোলের সন্তানদের হারাতে হত না।

[আরও পড়ুন: কলকাতায় NIA অভিযান, জঙ্গিযোগে পিএফআই নেতার অফিসে তল্লাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement