shono
Advertisement

পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুনের রহস্যভেদ তিনদিনে, গ্রেপ্তার গেরুয়া শিবিরেরই ৩

মদের আসরে গোলমাল, তার জেরেই খুন বিজেপি কর্মী, দাবি পুলিশের।
Posted: 08:03 PM Jun 28, 2022Updated: 08:03 PM Jun 28, 2022

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বিজেপি (BJP) কর্মীকে খুনের ঘটনায় তিন গেরুয়া কর্মীকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার পাঁড়ুই গ্রামের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী মানস মাহাতোর মৃতদেহ উদ্ধার হয় চলতি মাসের ২৫ তারিখ সকালে। এই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরুলিয়া (Purulia) জেলা বিজেপি মাঠে নেমে প্রচার করতে থাকে এটা রাজনৈতিক খুন।

Advertisement

ওই দিনই তাঁর স্ত্রী নমিতা মাহাতো খুনের অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত তিনজনই নিহত মানস মাহাতোর বন্ধু। তাঁরা একসঙ্গে বিজেপি করতেন বলে মানবাজারের রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃত তিনজনের নাম সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে রানা, বিশ্বজিৎ মর্দন্যা ও ভৈরব ওরফে সুন্দর বাউরি। সৌমিত্রর বাড়ি মানবাজার থানার গোপালনগর গ্রামে। বিশ্বজিৎ থাকে মানবাজার থানার জবলা নাপিত পাড়ায়, ভৈরবের বাড়ি জবলা ভেলাগোড়ায়।

[আরও পড়ুন; পয়গম্বর বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট, মাথা কেটে নেওয়া হল যুবকের, অগ্নিগর্ভ রাজস্থান]

সোমবার রাতে ধৃত সৌমিত্রকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পরে সে সবকিছু স্বীকার করলে বাকি দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতদেরকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, “নিহত মানস মাহাতো বিজেপি কর্মী ছিল। এই ঘটনায় আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৪ তারিখ ওই তিন বন্ধু মিলে মদ খায়। তারপরই একে অপরের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। তবে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় মানসের সঙ্গে সৌমিত্রর। সৌমিত্র রেগে পাথর দিয়ে মানসের মাথায় আঘাত করে। তখনই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মানস। তারপর মানসের মৃতদেহ মানবাজার-পুরুলিয়া সড়কপথ থেকে ৮০০ মিটার দূরে গোপালনগর শ্মশানঘাট এলাকায় একটি কালভার্টের কাছে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। কোনও দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে এই বিষয়টি বোঝাতেই তারা এই কাজ করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

[আরও পড়ুন; রিলায়েন্স জিওর চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন মুকেশ আম্বানি, দায়িত্বে পুত্র আকাশ]

এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে তিনজন কর্মীকে ধরেছে। এখনই বলা যাবে না তারা দোষী। রাজনৈতিক চাপে পুলিশ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখাচ্ছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। যে তিনজন ধরা পড়েছে তারা যদি সত্যিই দোষী হয় তাহলে তাদেরকে কোনওভাবে সাহায্য করবে না দল। কিন্তু রাজনৈতিক চাপে যদি এই ঘটনাকে ঘিরে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ দেখানো হয় তাহলে আমরা চুপ করে থাকব না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement