মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: শীতের শুরতেই উলুবেড়িয়াবাসী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর। গড়চুমুক চিড়িয়াখানায় আনা হল মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণী ইগুয়ানা। ছটি ইগুয়ানা ছাড়া হল গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কে। শনিবার বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা খাঁচাটির উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি বনবিড়ালের এনক্লোজার ও আশি মিটার বনপথের (চিড়িয়াখানার ভিতরের রাস্তা) উদ্বোধন করেন।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমবার পার্কে নিয়ে আসা ৬টি ইগুয়ানার বয়স ৮ বছরের মধ্যে। প্রতিটি প্রাণী এক মিটার করে লম্বা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো লম্বায় আরও বাড়বে। প্রাণীগুলো সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন মিটার লম্বা হয়। আগে বাংলায় একমাত্র আলিপুর চিড়িয়াখানায় এই গিরগিটি জাতীয় প্রাণীর দেখা মিলত। প্রাণীগুলোকে সেখান থেকেই উলুবেড়িয়া নিয়ে আসা হল। মন্ত্রী বীরবাহা বলেন, "এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্বপ্নের প্রকল্প।" বনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী-সহ অন্যান্যরা।
চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, জুলজিক্যাল পার্কটিকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। বাঘ আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। চিড়িয়াখানায় হায়না, নেকড়ে, বন কুকুর আনারও পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে ইতিমধ্যেই এমু, ম্যাকাও-সহ ৫০টি প্রজাতির বেশি পাখি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে পাইথন, কুমির হরিণ, বাগরোল, বন বিড়াল। পশু-পাখির সংরক্ষণ ছাড়াও এখানে বেশ কিছু পশু-পাখির প্রজননেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাকি প্রাণীগুলো গড়চুমুকে এলে এই চিড়িয়াখানা মানুষের কাছে আরও আর্কষণীয় হয়ে উঠবে বলে মত কর্তৃপক্ষের। এদিন বনমন্ত্রী এবং বনদপ্তরের কর্তারা গোটা চিড়িয়াখানা চত্বরে বিভিন্ন প্রাণীর এনক্লোজার ঘুরে দেখেন।
প্রসঙ্গত, গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কের পরিকাঠামোগত উন্নতি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাঘের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের রাখার জন্যও জায়গা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে নিকাশি নিয়ে একটা সমস্যা দীর্ঘদিন এখানে রয়েছে। বর্ষায় জল জমে যায়। হরিণের দল বেশ বিপাকে পড়ে। এদের উঁচু জায়গায় উঠে আশ্রয় নিতে হয়। সৌরভ বাবু জানিয়েছেন, "এখানে নিকাশির আমূল উন্নতি করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী বর্ষায় এই সমস্যা থাকবে না।"