দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় 'আক্রান্ত' নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার ভাঙড়ের বামনঘাটায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার ভাঙড়ের বামনঘাটায় হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মহিলাদের জন্য দড়ি টানাটানি খেলার ব্যবস্থা ছিল। সেখানেই ছিল ওই নাবালিকা। আচমকা মদ্যপ অবস্থায় সেখানে যান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চিরঞ্জিত মণ্ডল। অভিযোগ, তিনিই নাবালিকাকে টানাটানি করতে শুরু করেন। আপত্তিকরভাবে তাকে স্পর্শও করেন। নাবালিকার জামা কাপড় ছিঁড়ে যায়। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে সবটা জানায় সে।
এরপরই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা চিরঞ্জিত মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়। প্রতিবাদ করতেই চিরঞ্জিত ও তাঁর শাগরেদরা পালটা নাবালিকার বাড়ির লোকেদের মারধর করে বলে অভিযোগ। যার জেরে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সুযোগ বুঝে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য এলাকা ছেড়ে পালায়। রাতেই তার খোঁজে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরবর্তীতে চিরঞ্জিত-সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনিমেষ মণ্ডল জানান, "অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাদের দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য হলেও তার এমন আচরণ নিন্দনীয়। আমরা শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"