shono
Advertisement
South 24 Parganas

নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের কবলে! রাতভর তল্লাশির পর উদ্ধার মৎস্যজীবীর দেহ

প্রবল শোরগোল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমায়।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 02:43 PM Oct 05, 2025Updated: 02:47 PM Oct 05, 2025

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের কবলে পড়েছিলেন মৎস্যজীবী। প্রায় ১২ ঘণ্টা তল্লাশির পর উদ্ধার হল মৎস্যজীবীর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শংকর হাতির। তাঁর বয়স ৪৫ বছর। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি-প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার দাসপুরের উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শংকর হাতির বাড়িতে বিজয়া করতে এসেছিলেন আত্মীয়রা। কিন্তু তাঁদের খাওয়াবেন কী? ভরসা বলতে গরম ভাত আর নদীর মাছ। অগত্যা বাড়ির কাছেই জগদ্দল নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন শংকর। মাছ ধরতে ধরতে একসময় জালে টান পড়ে। বড়সড় মাছ জালবন্দি হয়েছে ভেবেই হাঁটুজলে নেমে জাল টানতে শুরু করেন তিনি। কয়েকমুহূর্ত পরই চক্ষু চড়কগাছ! কোথায় মাছ, এতো সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত! কিছু বুঝে ওঠার আগেই নদীর পাড়ে ছাগল নিয়ে আসা এক বধূ দেখেন শংকরকে মাঝনদীতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কুমির।

শংকরের আর্তনাদ শুনে ছুটে যান অন্যান্য মৎস্যজীবীরা। কিন্তু ততক্ষণে কুমিরের কবলে পড়ে বেপাত্তা শংকর। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী লঞ্চ এবং নৌকো নিয়ে নদীতে তল্লাশি চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনদপ্তরের আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দা, বনদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ তল্লাশি চলে নদীতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চললেও শনিবার রাতে হদিশ মেলেনি শংকরের। রবিবার সকালে নদী থেকে উদ্ধার হয় দেহ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আত্মীয়দের খাওয়ানোর জন্য নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের কবলে পড়েছিলেন মৎস্যজীবী। প্রায় ১২ ঘণ্টা তল্লাশির পর উদ্ধার হল মৎস্যজীবীর দেহ।
  • ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমায়।
  • ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
Advertisement