সুব্রত যশ, আরামবাগ: বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগেই। তখন কে আর জানত বিয়ের সময় নিম্নচাপের জেরে জল থৈ থৈ অবস্থা হবে গোটা রাজ্যের। কিন্তু হয়েছে তেমনটাই। তাই বলে তারিখ পরিবর্তন? নৈব নৈব চ! কী উপায়? শেষমেশ নৌকোয় চেপে বিয়ে করতে গেলেন যুবক। নবদম্পতি ফিরলেনও নৌকোয়। সাক্ষী রইল হুগলির (Hooghly) খানাকুলবাসী।
পাত্র হুগলির আরামবাগের (Arambag) খানাকুলের হিরাপুরের বাসিন্দা আমিরুল হক। হুগলির ছেলে হলেও কলকাতার (Kolkata) একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তিনি। এদিকে পাত্রীর বাবা শেখ মনিরুলের ছোট ব্যবসা রয়েছে কলকাতায়। সেই সূত্রেই আমিরুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ছোট মেয়ের সঙ্গে আমিরুলের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্যক্তি। সেই মতো দুই পরিবারের কথাবার্তা হয়। দিনক্ষণ ঠিক হয়। কিন্তু করোনার (Corona Virus) কারণে বারবার পিছিয়েছে বিয়ে। অবশেষে দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় ১৬ শ্রাবণ বিয়ে হবে। কিন্তু তাতেও বাধা। টানা বৃষ্টির (Rain) জেরে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতোই জলমগ্ন খানাকুলের শাবল সিঙ্গাপুর। কী উপায়? তবে কি এবারও পিছিয়ে যাবে বিয়ে? ভেবে চিন্তে উপায় বের করল পাত্রপক্ষ। নৌকোয় চেপে বিয়ে করতে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছলেন পাত্র। সঙ্গী মাত্র পাঁচজন।
Advertisement
[আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে জলে ডুবল Jail, ঘাটালে হাঁটিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হল আসামিদের]
কোনওরকম আড়ম্বর ছাড়াই সমাপ্ত হয় বিয়ে। ছিলেন পরিবারের সদস্যরাই। কোনওক্রমে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর ঘরোয়াভাবেই খাওয়া-দাওয়া হয়। তারপর নববধূ নৌকোয় চেপেই রওনা দেন শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে। দুই পরিবারেরই ইচ্ছে ছিল, ধূমধাম করে হবে বিয়ে। নিমন্ত্রিতেরা আসবেন। হই-হুল্লোড় করবেন। কিন্তু তার কোনওটাই হল না। করোনা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হলেও এভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তা ভাবতে পারেননি কেউই।
[আরও পড়ুন: বারাসত হাসপাতালের Asistant Super পরিচয়ে আর্থিক ‘প্রতারণা’, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
Loading videos...