সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহে (Malda) ফের মনুয়া কাণ্ডের ছায়া। পিসতুতো দেওরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন স্ত্রীর। খুনের পর দেহ লোপাটেরও চেষ্টা মহিলার। মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনা। হত্যাকাণ্ডে পুলিশ ওই মহিলা এবং তার পিসতুতো দেওরকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক মৃতের ছেলেও।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তি রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। বহু বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। আঠারো বছর বয়সি সন্তানও রয়েছে দম্পতির। গত বছর লকডাউনের সময় থেকে ওই ব্যক্তির বাড়িতে আসে তার পিসতুতো দাদা। করোনাকালে কোনও কাজ না থাকায় ভাইকে রংয়ের কাজে সাহায্য করছিল সে। অভিযোগ, একই বাড়িতে থাকাকালীন মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রং মিস্ত্রির পিসতুতো দাদা। তা কিছুটা আঁচও করতে পারছিলেন মহিলার স্বামী। বাধাও দিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ, মনোজিতের কাছে ডিভোর্স চাইলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়]
স্বামীর বাধা মানতে নারাজ মহিলা। অভিযোগ, পরকীয়ার পথের কাঁটা সরাতে স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। সেই অনুযায়ী পিসতুতো দেওরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করে মহিলা। মঙ্গলবার রাতে হাত-পা বেঁধে এবং মাথা থেঁতলে খুন করা হয় স্বামীকে। খুনের পর দেহ সিঁড়ির ঘরে রেখে দেয় মহিলা। ওই অবস্থায় স্বামীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল মহিলা ও তার পিসতুতো দেওর।
তবে দম্পতির আঠারো বছরের ছেলে বাবাকে সিঁড়ির ঘরে পড়ে কাতরাতে দেখেন। এরপর প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তিনি। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যাওয়ায় পালানোর সুযোগ হাতছাড়া হয় মহিলা ও তার পিসতুতো দেওরের। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রং মিস্ত্রির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ মহিলা ও তার পিসতুতো দেওরকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক করা হয়েছে মৃতার ছেলেকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।