শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফের বাংলায় লালসার শিকার নাবালিকা। এবার উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) চোপড়ায় বছর ষোলোর এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৪ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার হপতিয়াগজ পঞ্চায়েতের মদনভিটা গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধেয় ওই কিশোরীকে বাড়িতে একা রেখে তার বাবা, মা, দিদি ও ভাই গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার ৪ দুষ্কৃতী কিশোরীর উপর চড়াও হয়। তাকে গণধর্ষণ (Gang Rape) করা হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য নির্যাতিতাতে জোর করে বিষ খাইয়ে দেয় অভিযুক্তরা। কাউকে কিছু না জানানোর নির্দেশও দেয়। কোনওক্রমে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পালিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিতা। এরপরই তাকে উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে ওই কিশোরীর।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠীকোন্দল চরমে, বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার ৯টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারে ‘আদি’ বিজেপি]
নির্যাতিতার বাবা বলেন, “মঙ্গলবার ছোট মেয়েকে একা রেখে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হপতিয়াগজ পঞ্চায়েত গিয়েছিলাম। এই সুযোগে সরফরাজ ওরফে মোটা, জিয়ারুল ইসলাম, রমজান আলম এবং ফিরোজ মহম্মদ নামে চার যুবক আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টাও করে। অসুস্থ অবস্থায় বমি করতে করতে পাশে দাদার বাড়ি গিয়ে সব কথা জানায় মেয়ে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।” এ বিষয়ে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অসুস্থ কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে।”