সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে দুষ্টুমি করছিল। বারণ করলেও কথা শোনেনি। সে কারণে রাগের বশে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে বছর আটেকের পুত্রসন্তানকে খুন। নরেন্দ্রপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ধৃতের মায়ের। এর আগে মাস সাতেকের ছোট ছেলেরও বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। ওই সন্তানের মৃত্যুর কারণ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ধৃত তনুজা মণ্ডল। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌলিহাটির বাসিন্দা। তনুজা-প্রসেনজিতের বড় ছেলে দেবজিত মণ্ডল স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিনজনের সংসার চলছিল ভালোই। শনিবার সকালে প্রসেনজিৎ মাছের ব্যবসার কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে বড় ছেলেকে নিয়ে একাই ছিল তনুজা। সকাল ১০টা নাগাদ প্রসেনজিতের মা তাঁদের বাড়িতে আসেন। তিনি নাতির খোঁজ শুরু করে। সেসময় বাড়িতে ছিল না তনুজা। দেবজিতের ঠাকুমা প্রতিবেশীদের কাছেও জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেননি।
এরপর দেবজিতের জেঠু এসে খোঁজ শুরু করেন। অনেকক্ষণ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে ঘরের মধ্যে ঢোকেন। দেখতে পান, খাটের মধ্যে কম্বল চাপা অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেবজিৎ। তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন! সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। শোরগোল পড়ে যায়। এমন সময় অভিযুক্ত মা তনুজাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তনুজাকে দেখেই এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এলাকার মহিলারা তাঁর উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পুলিশ জানায়, তনুজা নিজে থানায় গিয়ে ছেলেকে খুনের কথা কবুল করেছে। আত্মসমর্পণ করেছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।