বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জের? নদিয়ার কল্যাণীর গয়েশপুরে প্রাক্তন পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চলার কারণ নিয়ে ক্রমশই দানা বাঁধছে রহস্য। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছে পুলিশ।
মৃত প্রাক্তন ওই পুলিশকর্মীর নাম জনার্দন কর্মকার। বছর পঁয়ষট্টির ওই প্রাক্তন পুলিশকর্মী গয়েশপুর পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পাঁচ বছর আগে কনস্টেবল পদে থাকাকালীন বারাকপুর থানা থেকে অবসর গ্রহণ করেন জনার্দনবাবু। প্রতিদিনের অভ্যাস মতো শুক্রবার সন্ধেয় বাড়ির সামনে রাস্তার সারমেয়েদের বিস্কুট খাওয়াতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর স্ত্রী বিভা কর্মকার পুজো করছিলেন। সারমেয়দের বিস্কুট খাওয়ানোর জন্য বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে বেরনো মাত্রই অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মোটরবাইক করে আসে। এরপর একদম সামনে থেকেই তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালাতে থাকে। বুকের বাঁ দিকে দু’টি গুলি লাগার পর রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন প্রাক্তন ওই পুলিশকর্মী। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বাকি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়।
[আরও পড়ুন: সাধারণ মেয়ের হার না মানা জেদ, মন্ত্রীকেও সিবিআই জেরার মুখে পৌঁছে দিলেন ববিতা]
ঘরের মধ্যে থেকেই পরপর গুলির শব্দ পান জনার্দন কর্মকারের স্ত্রী বিভা কর্মকার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি ঘরে বসে পুজো দিচ্ছিলাম। হঠাৎই কয়েকটি গুলির আওয়াজ পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে আসি। এসে দেখি, রাস্তার উপরে আমার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় লুকিয়ে পড়ে আছেন। আমি প্রতিবেশীদের চিৎকার করে ডাকি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।”
যদিও কী কারণে তাঁর স্বামীকে খুন করা হল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি জানিয়েছেন, “কারা কেন আমার স্বামীকে খুন করল, তা আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।’ যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, জনার্দন কর্মকারের পারিবারিক একটা জমিসংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে। সেই বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।