গোর্খাল্যান্ডের নামে পাহাড় অশান্ত করতে দেব না, মোর্চাকে কড়া হুঁশিয়ারি অনীত থাপার

05:03 PM Jan 28, 2023 |
Advertisement

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়: গোর্খাল্যান্ডের নামে পাহাড়ে কোনওরকম অশান্তির পক্ষে নন অনীত থাপা (Anit Thapa)। ফের গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে হাতিয়ার করে পাহাড়কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে কার্যত ইঙ্গিত করেছেন জিটিএ’র চিফ এক্সিকিউটিভ। তাঁর কটাক্ষ, জিটিএ চুক্তি থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বেরিয়ে আসাটা একটি শিশুসুলভ কাজ। এটা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

Advertisement

জিটিএ (GTA) চুক্তি থেকে বেরোতে চেয়ে সই প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দলের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যেই চিঠিও দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির (Roshan Giri) দাবি ছিল, জিটিএ তৈরি করা হয়েছিল পাহাড়ে গোর্খা জনজাতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এত বছরেও তা কোনওভাবেই গোর্খাদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও কাজ করেনি। সেই কারণেই জিটিএ থেকে বেরতে চায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মোর্চার এই চিঠির ফলে জিটিএ ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু এদিন অনীত থাপা জানিয়ে দিয়েছেন, এর ফলে জিটিএতে কোনও প্রভাব পড়বে না।

[আরও পড়ুন: পোস্তায় বেপরোয়া অ্যাব ক্যাব পিষে দিল ৪ কুকুর শাবককে, সারমেয় খুনে গ্রেপ্তার চালক]

জিটিএ’র চিফ এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা GTA চুক্তি থেকে তার অধিকার প্রত্যাহার করে নিলেও GTA-তে কোনও প্রভাব পড়েনি। এটা রোশন গিরির একটা রাজনৈতিক স্টান্ট মাত্র। অনীত থাপা বলছেন, জিটিএ চুক্তি থেকে রোশন গিরির সই প্রত্যাহার করাটা একটি শিশুসুলভ কাজ। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দীর্ঘদিন মোর্চাও জিটিএ-তে শাসন করেছে। এখন রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়েই পাহাড়কে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে মোর্চা।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রের খসড়া আগাম জানতেন কুন্তল, পার্থর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলল তথ্য]

অনীত থাপার সাফ কথা, গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) সব গোর্খাদের দাবি। কিন্তু এই স্বপ্ন উসকে দিয়ে আর পাহাড়কে অশান্ত করতে দেব না। পাহাড়ের মানুষ গোর্খাল্যান্ড যেমন চায়, তেমন উন্নয়নও চায়। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে পাহাড়ে আর কোনও সহিংসতা হবে না। অনীতের অভিযোগ, কোনও বিজেপি (BJP) নেতার বক্তব্যই গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে নয়। গুজবে বিশ্বাস করলে পাহাড় আবার জ্বলবে।

Advertisement
Next