shono
Advertisement
Bongaon

কাকিমার লালসার শিকার নাবালক, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল, জেল হেফাজতে তরুণী

নাবালকের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে।
Published By: Suhrid DasPosted: 07:36 PM Jan 17, 2025Updated: 07:36 PM Jan 17, 2025

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কাকিমাকে দেখলেই কুঁকড়ে যেত নাবালক। বাড়ির অন্যান্যরা কিছুতেই সেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরে ওই নাবালকের মা আসল ঘটনা জানতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে ছেলেকে ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানি করে যাচ্ছিলেন কাকিমা। দিনের পর দিন কাকিমার লালসার শিকার ওই নাবালক। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলে রাখা হয়েছিল মোবাইলে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই মহিলাকে। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার শলুয়ারদাড়ি এলাকায়। 

Advertisement

বছর ২৮-এর ওই অভিযুক্ত মহিলার নাম দীপিকা বিশ্বাস ওরফে মাম্পি। ওই নাবালকের মায়ের অভিযোগ, অভিযুক্ত মহিলা দীর্ঘদিন ধরে ছেলেকে যৌন নির্যাতন করছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শলুয়ারদাড়ি এলাকায় দুই ভাইয়ের পরিবার একই বাড়িতে থাকেন। নাবালক ছেলে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বাভাবিক আচরণ করছিল না। কেমন একটা ভয়ে ভয়ে থাকছিল সে। কিছু জিজ্ঞেস করলেও বলছিল না।

যদিও পরে ওই নাবালক সব কথা বলে। নাবালক হওয়ার অছিলায় তাঁকে ফাঁকা ঘরে ডেকে নিয়ে যেত কাকিমা। কারও কোনও কিছু সন্দেহও হয়নি কখনও। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই শুরু হয় যৌন হেনস্থা। তাঁকে কাছে আসার জন্য বাধ্য করতেন ওই মহিলা। শুধু তাই নয়, সেসব ভিডিও মোবাইলে তুলে রেখে চলছিল ব্ল্যাকমেল। কাউকে কিছু বলতে না পেরে নাবালক কাকিমার কাছে যেতে বাধ্য হত। নাবালক সব কথা মাকে বললে সংসারে জোর অশান্তি শুরু হয়। পরিবারের লোকেরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেন।

কিছু দিন বন্ধ থাকার পর ফের সেই মহিলা নাবালককে যৌন হয়রানি শুরু করেন। বৃহস্পতিবার বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালকের মা। একাধিক তথ্য, ভিডিও পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। এদিন তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কাকিমাকে দেখলেই কুঁকড়ে যেত নাবালক।
  • বাড়ির অন্যান্যরা কিছুতেই সেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
  • পরে ওই নাবালকের মা আসল ঘটনা জানতে পারেন।
Advertisement