সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনা তথা আওয়ামি লিগকে নিয়ে বাংলাদেশে চলছে ঐতিহাসিক রায়দান প্রক্রিয়া। এরমাঝেই তৎপরতা বেড়েছে ভারতে। বাংলাদশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা।
আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে সেই দলের নেতা ও কর্মীরা বিপুল পরিমাণে ভারতে প্রবেশ করতে পারেন বলে আশঙ্কা। সেই আশঙ্কায় রয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। জানা গিয়েছে বসিরহাটের ইছামতি সেতু, স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া ব্রিজ, হাসনাবাদের বনবিবির সেতু, হেমনগরের নবদুর্গা মোড়, বাদুড়িয়া শায়েস্তানগরে চলছে জোর কদমে নাকা তল্লাশি।
এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ইতিমধ্যে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে রাজধানী দিল্লি-সহ ভূস্বর্গ কাশ্মীর। তাই এবার নিরাপত্তায় কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকেই বসিরহাটের স্বরূপনগর, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, বাদুড়িয়া, হেমনগর ও বসিরহাট সহ সীমান্তবর্তী থানা এলাকাগুলিতে জোর কদমে চলছে নাকা চেকিংয়ের প্রক্রিয়া। সীমান্ত থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে প্রবেশ করা সমস্ত গাড়িগুলিকেই নজরের রাখছে সীমান্তরক্ষি বাহিনী ও বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকরা।
বাস, অটো ও টোটো-সহ সব ছোট-বড় যাত্রীবাহী গাড়ি, পণ্যবাহী লরি এমনকি বাইক পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে জোর কদমে নাকা চেকিং এর কাজ চলছে। একদিকে গত সপ্তাহে দিল্লি ও কাশ্মীরে নাশকতা অন্যদিকে সোমবার বাংলাদেশের আদালতের রায়দান পরবর্তী পরিস্থিতি যথেষ্টই চিন্তায় রেখেছে ভারতীয় প্রশাসনকে। সে কথা পক্ষান্তরে স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এই রায় ঘিরে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে সমস্যা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে পথে নেমে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশের একাধিক গোষ্ঠী। পরপর বিস্ফোরণ হয়েছে ঢাকায়। দেখামাত্র গুলি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। অন্যদিকে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।
গত বছর জুলাই মাসে হাসিনা সরকারে পতন ঘটে। চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন। দেশও ছাড়েন। বর্তমানে রয়েছেন ভারতেই। হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। রায় ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রায়ের আগে হাসিনা বলেন, "আমি জানি আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের চিফ প্রসিকিউটর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি এনেছেন, তার সবই মিথ্যা। আবু সঈদের বাবা নিজেই বলেছেন তাঁর ছেলের মাথার পিছনে গুলি লেগেছে। কিন্তু সারা বিশ্ব জানে আবু সঈদ বুক পেতে গুলি খেয়েছে। পুলিশ তো মেটাল বুলেট ব্যবহার করেনি। রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়।"
