টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কানাঘুষো আগেই শোনা গিয়েছিল। এবার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। স্কুলেরই এক ছাত্রের মায়ের সঙ্গে প্রেম শিক্ষকের! আর সেই ছাত্রের মাকে নিয়েই পালানোর অভিযোগ উঠল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা নিয়ে কার্যত হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হল স্কুলের সামনে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল এলাকায়। মাকে ফিরে পেতে ওই স্কুলে ছাত্রকে প্ল্যাকার্ড হাতে স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও।
বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল ব্লকের লক্ষণপুর সম্মিলনী বিদ্যামন্দির। অভিযোগ, দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মায়ের সঙ্গে ওই স্কুলের শিক্ষক বরুণ মণ্ডলের ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক’ রয়েছে। সেই সম্পর্কের জেরে ছাত্রের মাকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন ওই শিক্ষক। ঘটনা জানাজানি হতেই থমথমে ছিল স্কুল চত্বর। সোমবার সকালে স্কুলের গেট খুলতেই হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা। সেই পোস্টারে বড় বড় হরফে লেখা, “বরুণ স্যার ফিরিয়ে দাও! শিক্ষকের অনৈতিকতা মানি না।” স্কুলচত্বরে কিছু সময়ের মধ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ।
ওই বিক্ষোভে সামিল হয় স্কুলের অন্য ক্লাসের পড়ুয়ারাও। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে রাখতে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সিমলাপাল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশোভন চক্রবর্তী বলেন, "সকালে স্কুলে এসে দেখি ছাত্ররা বাইরে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করছে। তারা অভিযোগ করছে, বরুণ মণ্ডল ছাত্রের মাকে নিয়ে পালিয়েছেন। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতরভাবে দেখছি। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাই পুলিশকে ডাকা হয়।"
স্কুলের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
এলাকা ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের মায়ের সঙ্গে বরুণ মণ্ডলের 'ঘনিষ্ঠতা' নিয়ে আগে থেকেই কানাঘুষো চলছিল। রবিবার রাত থেকেই দু’জনকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার সকালে যখন ছাত্রছাত্রীরা বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানতে পারে। তখনই ক্ষোভ দেখা যায় স্কুল চত্বরে। এক ছাত্রের কথায়, "স্যার যদি ছাত্রের মাকেই নিয়ে পালিয়ে যান, তাহলে আমাদের কী শেখাবেন?" অভিভাবকদের অনেকের কথায়, "ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হবে।” অভিযুক্ত আইসিটি ইন্সট্রাক্টর বরুণ মণ্ডলের ফোন সোমবার থেকে বন্ধ। তাঁর বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
