সুমন করাতি, হুগলি: এসআইআর আতঙ্কে ৬ বছরের শিশুকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর। বিষ খেয়ে কোলের সন্তানকে নিয়েই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর সংক্রান্ত এনুমারেশন ফর্ম না পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই মহিলা। এরপরেই এই ঘটনা। ঘটনার পরেই ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতা পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পরেই ওই মহিলার বাড়ি ছুটে গিয়েছেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই বারবার এই ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের।
ওই মহিলার নাম আশা সোরেন। ধনেখালি থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানানদী এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর আট আগে হরিপালে বিয়ে হয় আশার। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে বাপের বাড়িতেই থাকত সে। পরিবারের দাবি, গত কয়েকদিন আগেই আশার বাপের বাড়ির সদস্যদের এসআইআর সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ দিয়ে যান বিএলওরা। কিন্তু তিনি পাননি বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু শেষ ভোট দিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে থেকে। ফলে এসআইআর ফর্ম পাওয়া নিয়ে আশা আতঙ্কে ছিলেন বলে অভিযোগ পরিবারের। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনরকম সহযোগিতা পাওয়া যাবে না বলেও মানসিক অবসাদ বছর ২৭ এর আশাকে গ্রাস করছিল বলে দাবি পরিবারের। এর মধ্যেই শনিবার ছয় বছরের শিশুকে নিয়ে কীটনাশক খেয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে দাবি। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন আশা সোরেন এবং তাঁর মেয়ে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এসআইআর আবহে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। যেভাবে এই ইস্যুতে বিজেপি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে, নথি না থাকলে দেশ ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে সেই আতঙ্কে একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের। সেই একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রের বক্তব্যেও। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা যেভাবে হুমকি দিচ্ছে, কাগজ না থাকলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব, তা নিয়ে মানুষ আতঙ্ক।'' যার জেরে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে দাবি। এমনকী নির্বাচনের আগে এসআইআর নিয়ে কেন এত তাড়াহুড়ো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক।
