ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: রাজ্যের সঙ্গে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) সংঘাত তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে ভরসা বৈঠক। আগামী দশদিনের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে বলেই সোমবার জানান বীরভূমের জেলাশাসক বিজয় ভারতী।
গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে বিভিন্ন জায়গায় পাঁচিল তোলাকে ঘিরে এই বিরোধ চরমে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা ফিরিয়ে নিয়েছেন। যা ফিরে পেতে উপাচার্য ছাতিমতলায় প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভেও বসেন। তারপরেও দূরদর্শন কেন্দ্র এবং রতনপল্লির রাস্তায় পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীর সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বিরোধ দেখা দেয়। জেলা প্রশসন রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয় এবং নির্মাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারাচ্ছে করোনা? রাজ্যে ফের কমল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা]
বিশ্বভারতীকে ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের মধ্যেই এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবে জেলা প্রশাসন। এই সমস্ত বিষয়-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবে জেলা প্রশাসন। এই নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথাও হয়েছে জেলাশাসক বিজয় ভারতীর (Vijay Baharati)। তিনি বলেন, “১০ দিনের মধ্যে বিশ্বভারতীর সঙ্গে বৈঠকে বসব আমরা। বিশ্বভারতীর দাবি এবং রাস্তা, পাঁচিল, সীমানা সংক্রান্ত সব ইস্যুতেই কথা হবে।”
এদিকে, বোলপুরে মির্জাপুরে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হতে চলেছে আন্তর্জাতিক মানের বাসস্ট্যান্ড। সোমবার তার ভারচুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), অসিত মাল, জেলাশাসক বিজয় ভারতী-সহ অন্যান্যরা। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই বৈঠকের কথা জানান জেলাশাসক। আগামিকাল বীরভূমে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। সে প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সব দলের মিটিং, মিছিল করার অধিকার আছে। তাতে কোনও বাধা নেই। কে কোথায় এল না এল তাতে কিছু যায় আসে না। খেলা হবে।”