নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দীক্ষা দেওয়ার নামে শিষ্যাকে ধর্ষণ গুরুর! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য় ছড়ায় বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত গুরুকে। সে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে। তবে মহিলার সম্মতি নিয়ে সে এই কাজ করেছে বলে জানায় সে।
অভিযুক্ত গুরুদেবের নাম উজ্জ্বল দাস। চলতি সপ্তাহে দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে গিয়েছিলেন দীক্ষা দিতে। সেই গ্রামের বাসিন্দা বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মহিলা ও তাঁর স্বামী দীক্ষা নিতে যান। প্রথমে স্বামীকে দীক্ষা দেওয়া হয়। তার পর ওই মহিলাকে দীক্ষা নেওয়ার জন্য ডাকেন দীক্ষাগুরু উজ্জ্বল। কিন্তু সুযোগ বুঝে ভুল বুঝিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন দীক্ষাগুরু। তার পর বাড়িতে গিয়ে মহিলা তাঁর স্বামীকে জানান।
তড়িঘড়ি তাঁর স্বামী দুবরাজপুর থানায় দীক্ষাগুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে অভিযোগ পেয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর গ্রামে। ধৃত দীক্ষাগুরু উজ্জ্বল দাসকে শনিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।