ধনরাজ তামাং, দার্জিলিং: রাজ্যে বারবার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আনাগোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মাঝে এবার কার্শিয়াংয়ের জঙ্গলে দেখা মিলল ব্ল্যাক প্যান্থার বা কালো চিতাবাঘের। এক গাড়িচালক ম্যালানিস্টিক লেপার্ডটিকে দেখতে পান। তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন। কার্শিয়াংয়ের ডিএফও ওই ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। ছবিটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। কালো চিতাবাঘকে দেখে উচ্ছ্বসিত পশুপ্রেমীরা।
গাড়িচালকের দাবি, চিমনি থেকে বাগোরা যাওয়ার রাস্তায় কালো চিতাবাঘটিকে দেখতে পান। ওই এলাকাটি কার্শিয়াং বনবিভাগের অন্তর্গত। কালো চিতাবাঘ অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। বনবিভাগের তরফে তাই ইতিমধ্যে বনাঞ্চলের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। যাতে পাচারকারীরা কোনওভাবে ওই কালো চিতাবাঘকে পাচারের জন্য টার্গেট করতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে বলেন, "এর আগেও পাহাড়ে কালো চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে। এটির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।"
এর আগে গত ২০২১ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি ধরা পড়ে। তিন-চার বছর বয়সের একটি শাবক ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবিও ধরা পড়ে সেবার। বনদপ্তরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরাতেই এই সব ছবি ধরা পড়ে। কিন্তু কী এই ম্যালানিস্টিক লেপার্ড? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটা আসলে এক ধরনের লেপার্ড। কালো হলুদ ডোরাকাটার বদলে জিনগত পরিবর্তনের ফলে তাদের শরীর সম্পূর্ণ কালো রঙের হয়ে যায়। বংশানুক্রমে কালো লেপার্ডের বংশবৃদ্ধিও হয়। যাকে আসলে অনেকেই ব্ল্যাক প্যান্থার বলেন। পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ম্যালানিস্টিক লেপার্ড বা ব্ল্যাক প্যান্থারের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। পাছে চোরাশিকারিদের নজর পড়ে তাই ঠিক কতগুলি ব্ল্যাক প্যান্থার রয়েছে বনাঞ্চলে, সে তথ্য প্রকাশ করা হয় না।