অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। রেললাইনের উপরেই পড়ে থাকল সেই দেহ। মৃতদেহ কে তুলবে, জিআরপি নাকি রেলপুলিশ? সেই নিয়ে টানাপোড়েন চলে। সেই টানাপোড়েনে প্রায় চার ঘণ্টা সময় রেললাইনের উপরেই পড়ে থাকল মৃতদেহ! আর মৃতদেহের উপর দিয়ে চলে যেতে থাকল একের পর এক ট্রেন। আজ, শুক্রবার সকালে অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া আমতা শাখার ডোমজুড় স্টেশনের আগে দুই নম্বর পোলের সামনে আমতা-হাওড়া লোকালে ওই ঘটে দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মিন্টু গের নামে বছর ৪৫-এর ওই মহিলা। তাঁর বাড়ি হুগলির চণ্ডিপাড়া এলাকায়। তিনি কি আত্মহত্যা করেছেন? সেই প্রশ্নও রয়েছে। সকাল সাড়ে নটার সময় ওই ঘটনার পরেও মৃতদেহ লাইন থেকে সরানো হয় না বলে অভিযোগ।
ঘটনার খবর জানানো হয়েছিল হাওড়ার ডোমজুড় স্টেশনে। অভিযোগ, রেলের তরফে কোনও জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যেতে ঘটনাস্থলে যায়নি। অগত্যা খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। রেললাইনে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তাই রেলপুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধার করবে। পুলিশের তরফে সেই কথাই প্রথমে বলা হয় বলে অভিযোগ। জিআরপি ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে টানাপোড়েন চলতে থাকে বলে অভিযোগ। রেলের তরফে জানানো হয়, ওই এলাকা জিআরপি আওতাভুক্ত নয়। সেজন্য মৃতদেহ উদ্ধার করতে সময় লাগছে।
ওই এলাকা ডোমজুড় নাকি জগৎবল্লভপুর থানার আওতায় পড়ে? এরপর সেই নিয়েও রাজ্য পুলিশের মধ্যে টানাপোড়েন চলে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় প্রায় চারঘণ্টা রেললাইনের উপরেই পড়ে থাকে ওই মৃতদেহ। আর উপর দিয়ে একের পর এক ট্রেন চলে যেতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ, আতঙ্ক বাড়তে থাকে। এতটা অমানবিক কীভাবে হওয়া সম্ভব? সেই প্রশ্ন ওঠে। শেষপর্যন্ত জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতার পরিবারের সদস্যদেরও খবর পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
