দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর চাষের জমিতে মিলল নাবালিকার পচাগলা দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার উত্তর চুনাখালি এলাকায়। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণ ও খুনের পর প্রমাণ লোপাটে দেহ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নেপথ্যে কে? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার উত্তর চুনাখালি এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। এলাকারই একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে বেপাত্তা ছিল নাবালিকা। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। সোমবার দুপুরে নাবালিকার বাড়ির অদূরে একটি জলাজমিতে একটি হাত দেখতে পান এক কৃষক। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেখা যায়, দেহটি ওই নাবালিকার। স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করে প্রমাণ লোপাটে নাবালিকার দেহ জমিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। কিন্তু কেন? পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কিছু? নেপথ্যে কে? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দ্রুতই রহস্যভেদ হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।