সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: অশোকনগরের পর রানাঘাট। গত এপ্রিল মাসে নদিয়ার এই শহরে খনিজ জ্বালানির খোঁজ পায় ওএনজিসি। কাজ কতদূর এগিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তা জানতে চান রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। জবাবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, সরকার কাজ শুরু করতে ইচ্ছুক। সেই মোতাবেক প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ধরনের কাজ করতে প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহের কাজও চলছে।
রানাঘাটের দুবারের সাংসদ এই সংক্রান্ত প্রায় চারটি প্রশ্ন করে জানতে চান, রানাঘাটে যে খনিজ জ্বালানির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তার পরিমাণ কত? অনুসন্ধানের কাজ কতটা এগিয়েছে? কতদিন পরে বাণিজ্যিক উৎপাদন করা যাবে? এই জ্বালানি উত্তোলন সম্ভব হলে তাতে পশ্চিমবঙ্গের শক্তি উৎপাদনকে কতটা প্রভাবিত করবে?
নিজেদের দলের সাংসদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, আগেই খনিজ জ্বালানি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু রানাঘাটে কত পরিমাণ প্রাকৃতিক খনিজ জ্বালানি রয়েছে তা পরিমাপ করা হয়নি। জমির মূল্যায়নের পর তা খতিয়ে দেখা হবে। এখনও পর্যন্ত যতদূর এগনো গিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাইপলাইন বসানো থেকে উত্তোলনের পরিকাঠামো তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তবে খনিজ উত্তোলনের ক্ষেত্রে শুধু সরকারি পরিকাঠামো তৈরি করা শেষ কথা নয়। লাগে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র। উত্তোলন শুরু হলে রানাঘাট ও আশেপাশের এলাকার পরিবেশের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা কতটা নিরাপদ সব কিছু খতিয়ে দেখে তবেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেই জন্য সরকার ও ওএনজিসিকে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়। তারপর মেলে ছাড়পত্র। এছাড়াও একটি বিশেষ সমীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। খনিজ উত্তোলনে নেওয়া হবে রানাঘাটবাসীর মতামতও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খনিজের অনুসন্ধানের কাজ শুরু করা যাবে। এবার বিষয় হচ্ছে কবে শুরু হবে এই কাজ? মন্ত্রক জানাচ্ছে, মূল্যায়নের জন্য ২০২৭ সালের ৯ মে পর্যন্ত সময় রয়েছে। অতএব এই সময়কালের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
তবে অশোকনগর বা রানাঘাট নয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে খনন কার্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তা মিললেই শুরু হবে কাজ।