বিশ্বদ্বীপ সাহা, কোচবিহার: পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছে আতঙ্কের খবর। বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ আতঙ্কে আত্মহত্যাও করেছে। এর মাঝেই নতুন অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম নেই তাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেবার আশ্বাস দিয়ে টাকা তুলছে দিনাহাটার বিজেপি নেতা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম নেই তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়েছে। দিনহাটা বিধানসভার বিজেপির দুই নম্বর মন্ডলের সহ সভাপতি দেবব্রত দাসের ভাই শ্যামল দাসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ কিসামত দশগ্রাম এলাকায় গ্রামবাসীরা হাতেনাতে সেই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। ওই ব্যক্তিকে ধরে গ্রামবাসিরা মারধর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এই গোটা ঘটনার কথা সোশাল মিডিয়ায় লিখে পোস্ট করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। যদিও বিজেপি এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা বিরাজ বসুর দাবি, 'কোনও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা দলীয় মিটিং করতে পারেনা, এসআইআর এর কাজের জন্য বিএলএ দিতে পারেনা, সেখানে এই অভিযোগ হাস্যকর।' তিনি আরও বলেন, 'মন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত রাগ প্রশমিত করার জন্যই এমনটা করছেন।'
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর পোস্ট
প্রসঙ্গত, সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সেই পোস্টে এক ব্যক্তির ছবি সমেত মন্ত্রী লেখেন, 'পৃথিবীর সব থেকে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেবেন। গ্রামবাসীরা তাকে হাতেনাতে ধরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে সাহেবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।' মন্ত্রীর এই পোস্টের পরেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দিনহাটার তথা জেলার রাজনৈতিক মহলে। একদিকে যখন এসআইআর আতঙ্কে ভুগছে বাংলার সাধারণ মানুষ, ঠিক সেই সময় বিজেপি মন্ডল সহ সভাপতি ভাইয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি এমন অভিযোগে কিছুটা হলেও কোণঠাসা জেলার বিজেপি নেতৃত্ব।
