shono
Advertisement
Khardaha

দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা, দুষ্কৃতী ভাড়া করে খড়দহে সিপিএম কর্মীকে 'মারধর', অভিযুক্ত দলেরই নেতারা

ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
Published By: Subhankar PatraPosted: 01:59 PM Oct 09, 2025Updated: 01:59 PM Oct 09, 2025

অর্ণব দাস, বারাকপুর: খড়দহে সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! দলের অভ্যন্তরে ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় দলেরই নেতাদের চক্রান্তে 'আক্রান্ত' সিপিএম কর্মী। বাড়ির সামনে লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। চোখ ও মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই সিপিএমকর্মী। 

Advertisement

আক্রান্ত সিপিএম কর্মীর নাম সৌমিত্র আচার্য্য। তিনি কল্যাণনগর এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি দলের এক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন সৌমিত্র। দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে তার প্রতিবাদ করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন। অভিযোগ তারপর দলের নেতা উত্তম বণিক ও ননীগোপাল দাস তাঁকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন। পরিবার ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়েও আপত্তিজনক ভাষায় কথা বলেছিলেন। তবে দলীয় নির্দেশে সৌমিত্রবাবু বিষয়টিকে এড়িয়ে যান।

এরপর বুধবার রাতে তিনি এক বন্ধুর বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। অভিযোগ তিনজন দুষ্কৃতি তাঁকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড় দিয়ে মারধর করেছেন। সৌমিত্রবাবুর অভিযোগ এই ঘটনার পিছনে যুক্ত রয়েছেন উত্তম বণিক ও ননীগোপাল দাস।

আক্রান্ত সিপিএমকর্মী বলেন, "দলীয় এক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায়, আমাদের দলের নেতা উত্তম বণিক ও ননীগোপাল দাস তিনজন ছেলেকে দিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ওরা স্কুটি নিয়ে আমার পিছু করে বাড়ির সামনে এসে মারধর করে। উত্তম বণিক ও ননীগোপাল দাসের পিছনে লাগলে প্রাণে মারাও হুমকি দিয়েছে। চোখের অবস্থা খুব খারাপ। মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। বিরোধী দলের কোনও নেতা-কর্মী আমাকে আজ পর্যন্ত নিগ্রহ করেনি। নিজের দলের লোকের থেকে এইভাবে নিগৃহীত হয়ে খারাপ লাগছে।" ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা উত্তম বনিক পলাতক। তদন্তে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খড়দহে সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! দলের অভ্যন্তরে ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় দলেরই নেতাদের চক্রান্তে 'আক্রান্ত' সিপিএম কর্মী।
  • বাড়ির সামনে লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ।
  • চোখ ও মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই সিপিএমকর্মী। 
Advertisement