রাজা দাস, বালুরঘাট: তৈরি হওয়ার বছর দুয়েকের মধ্যেই ভাঙল আত্রেয়ী নদীর বাঁধের একাংশ। নদীর বাঁধের কাছে নামার সিঁড়ি উলটে গিয়েছে। রবিবার রাতে বালুরঘাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বাঁধ ভেঙে জল ঢোকার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরি হয়েছিল বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও প্রশাসনের দাবি, অতিরিক্ত জলের চাপে এই বিপত্তি।
রবিবার রাতে ওই বাঁধে যাতায়াতের সিঁড়িটি উলটে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বাঁধের। কীভাবে বাঁধের এত বড় ক্ষতি হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পাওয়মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। এলাকায় যায় পুলিশ। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রও যান ঘটনাস্থলে। রাত পর্যন্ত তাঁরা বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। জলের অতিরিক্ত চাপে এমন বিপত্তি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জলের চাপ কমাতে সেচদপ্তরের কর্মীরা রাতেই স্লুইস গেট খুলে দেন। নদীবাঁধ তৈরি হয়েছে ২০২৩ সালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীবাঁধের উদ্বোধন করেন। তার মাত্র কয়েকদিনে নদীবাঁধের বেহাল দশায় বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনওভাবে জল গ্রামে ঢুকলে বিপদের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এখন শুখা মরশুম। গত কয়েকদিন বৃষ্টিও হয়নি। তারই মধ্যে বাঁধ ভেঙে গেল কীভাবে, সেই প্রশ্নও তুলছে এলাকাবাসী।
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার X হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দেন। লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন আর বিপর্যয় সমার্থক! বছর দুয়েক আগে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপর ড্যাম তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও বিপর্যয়। আকস্মিকভাবেই সেই ড্যামও ভেঙে গেল। ঘটনার পর থেকেই যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর রাজত্বে যে কায়দায় সর্বত্র প্রতিষ্ঠানিক লুট চলছে, তাতে স্পষ্ট আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের মানুষই তাঁর লুটের সরকারও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন।" সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, "এবার_যাবে_পশ্চিমবঙ্গের_পাপ।"
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, প্রশাসন নজর রেখেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছে।