অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: নতুন অতিথিদের নিয়েই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে দার্জিলিঙের বিখ্যাত চিড়িয়াখানায়। একজোড়া সাদা বাঘ ও দুজোড়া সোনালি শেয়াল এসেছে পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে। ইতিমধ্যেই দর্শন মিলেছে ধবধবে সাদা বাঘটির। খাঁচার ভিতরে দিব্যি খেলে বেড়াচ্ছে সে। যা নিঃসন্দেহে নজর কাড়বে পর্যটকদের।
প্রায় ৭ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই চিড়িয়াখানা। যা ১৯৫৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল। সরোজিনী নাইডুর মেয়ে পদ্মাজা নাইডুর নামেই চিড়িয়াখানার নামকরণ করা হয়। এখানে পাহাড়ী প্রাণীদের পাশাপাশি স্নো লেপার্ড, হিমালয় অঞ্চলের বিপন্ন প্রজাতির নেকড়ে এবং লাল পান্ডার মতো প্রাণীরও সফল কৃত্রিম প্রজনন করা হয়েছে। দার্জিলিং বেড়াতে গেলে এই চিড়িয়াখানা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। চলতি বছরের জুলাইতেই পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কে আসে ৬ নতুন অতিথি। ফের অথিতির আগমন ঘটল এখানে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সদস্যসচিব সৌরভ চৌধুরী জানিয়েছেন, দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় একজোড়া সাদা বাঘ ও দুজোড়া সোনালি শেয়াল হায়দরাবাদ চিড়িয়াখানা থেকে এসেছে। পুরুষ বাঘের বয়স ৪ ও বাঘিনির বয়স ৭। বিনিময়ে একজোড়া বেঙ্গল টাইগার, একজোড়া গোল্ডেন, সিলভার, লেডি আর্মহার্স্ট ও চির ফেজেন্ট দেওয়া হয়েছে তাদের। সব পশুরাই সুস্থ রয়েছে।
প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার পর্যটক আসেন দার্জিলিঙের এই চিড়িয়াখানায়। এবার তাঁদের নজর কাড়বে হায়দরাবাদের অতিথিরা। সম্প্রতি ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে চারটি রেড পান্ডা এবং জোড়া তুষারচিতার জন্ম হয় এখানে। কয়েকদিন আগেই দার্জিলিঙে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পদ্মজা নায়ডু চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলেন তিনি। সদ্যোজাত সেই দুই তুষারচিতাকে দেখে দারুণ আনন্দ উপভোগ করেন তিনি। খুশি হয়ে তাদের নামকরণও করেন মুখ্যমন্ত্রী। নামকরণের তালিকায় রয়েছে চার রেড পান্ডাও। তুলোর বলের মতো দুই খুদে তুষারচিতাকে দেখে মুখ্যমন্ত্রী একজনের নাম রাখেন চার্মিং। আরেকজনের নাম দেন ডার্লিং। চার্মিং-ডার্লিংয়ের দৌলতে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় তুষারচিতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১। পাশাপাশি নতুন চারটি শাবকের জন্মের পর বর্তমানে এখানে লাল পান্ডা ১৯টি। তাদের নতুন নাম- পাহাড়িয়া, ভিক্টরি, ড্রিম এবং হিলি।