shono
Advertisement

সাপের কামড়ে অকেজো কিডনি, প্রথমবার শিশুর ডায়ালিসিসে সফল ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল

মৃতপ্রায় শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় খুশি পরিবার।
Posted: 09:34 AM Dec 08, 2022Updated: 10:06 AM Dec 08, 2022

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বড়সড় সাফল্য। এতদিন হাসপাতালে শিশুদের ডায়ালিসিস করা হত না। প্রয়োজনে শিশু রোগীদের পাঠানো হত কলকাতার হাসপাতালে। এই প্রথম সাপে কামড়ানো এক শিশুর ডায়ালিসিস করা হল ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। নবজীবন ফিরে পেল ওই শিশু।

Advertisement

বিষাক্ত চন্দ্রবোড়ার ছোবলে প্রাণ সংশয় হতে বসেছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উস্তি থানার কুলেশ্বরের ফকিরপাড়া গ্রামের সাড়ে ১১ বছরের আজহার উল শেখের। গত ২১ নভেম্বর বিষাক্ত ওই সাপ ছোবল মারে তার পায়ে। ওইদিনই তাকে ভরতি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিসিইউতে। শিশুবিভাগের প্রধান ডা: সুমন্ত্র সরকার জানিয়েছেন, সাপে কামড়ানো ওই শিশুর ‘হেমোটক্সিক স্নেকবাইট’ হওয়ায় তার দু’টি কিডনিই অকেজো হয়ে গিয়েছিল। প্রস্রাবও বন্ধ হয়ে যায় শিশুটির। ডায়ালিসিস ছাড়া বাঁচার আশা কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে বড়দের ডায়ালিসিস চালু থাকলেও, শিশুদের এর আগে কখনওই করা হত না। কারণ তা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

[আরও পড়ুন: দেড় মিনিটের ব্যবধানে ছুটতে পারে কলকাতা মেট্রো, স্টেশনে মিলবে ওয়াইফাই পরিষেবাও!]

কম বয়সিদের ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হলে তাদের স্থানান্তরিত করা হত কলকাতার কোনও বড় হাসপাতালে। এবারই প্রথম ওই শিশুর পরিবারের পূর্ণ সহযোগিতায় এবং শিশু বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, ডায়ালিসিস বিভাগের কর্মী এবং শিশু বিভাগের কর্মীদের প্রায় ১৫-২০ জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ ঝুঁকি নিয়েই শিশুটির ডায়ালিসিস করা হয়। তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। সাপে কামড়ানো ওই শিশুটির সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দু’টি ডায়ালিসিস করা হয়। প্রায় দু’সপ্তাহ পর শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। এ প্রসঙ্গে ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। মৃতপ্রায় বালক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় খুশি পরিবার।

শিশুর বাবা আবদুল্লা শেখ বলেন, “ডাক্তারবাবু, নার্সদিদি এবং শিশুবিভাগ ও ডায়ালিসিস বিভাগের অক্লান্ত চেষ্টায় ছেলেকে ফিরে পেয়েছি।” সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি। এমন সাফল্যে খুশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: উৎপল দাঁ। তিনি বলেন, “সাপে কামড়ানো মৃতপ্রায় শিশুকে ডায়ালিসিসের জন্য কলকাতায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হয়নি। ডায়ালিসিস ইউনিট, সিসিইউ টিম, সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি টিম, সমস্ত নার্স, কর্মী এবং শিশুবিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই শিশুটিকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ডায়ালিসিসের মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এমন সাফল্যে সকলকেই ধন্যবাদ।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দারুণভাবে সহযোগিতা করার জন্য শিশুর বাবা-মাকেও ধন্যবাদ জানান অধ্যক্ষ।

[আরও পড়ুন: ইসলামপুরে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী, ‘স্বামীকে বাঁচান’, জাতীয় সড়কের পাশে বসে আর্তনাদ স্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার