সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, পিতামাতা ঈশ্বরসম। অথচ, তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিত হয়েও লোভ নামের রিপুর ফাঁদে পড়ে সেই মা, বাবাকে চূড়ান্ত অসম্মান আর অত্যাচারের নজির কম নেই এই সমাজে। সম্প্রতি যেমন সেই নজির সামনে এল বাদুড়িয়ার নাজিমুদ্দিন গাইনের নিন্দনীয় আচরণে। জমির ভাগ নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে, রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে নির্যাতন। ডাক্তার ছেলে নাজিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হলেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। বসিরহাটে বাবা-মায়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়া থানার আটঘরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গোলাম নবি গাইন ও আকলিমা বিবি। তাঁদের ছেলে নাজিমুদ্দিন গাইন, পেশায় চিকিৎসক। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেছেন। বর্তমানে বারাসতের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেন। বছরখানেক আগে মাটিয়া থানা এলাকার মহসিনা পরভিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর বাবা-মায়ের উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে।
শুক্রবার সকালে ফের ঝামেলা বাঁধে। তখন ছেলে মাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। আকলিমা জানাচ্ছেন, "আজকে ফের ঝামেলা করে। রান্নাঘরে ঢুকে আমাকে মেরেছে। আমরা বলেছি জমি বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে দেব। তাতে আপত্তি। ছেলের জমির ভাগ, টাকা লাগবে। রাজি না হওয়ায় মারধর করে। অসুস্থ বাবাকেও বাদ দেয় না।" নির্যাতনের শিকার গোলাম নবি বলেন, "ছেলেকে অনেক কষ্ট করে ডাক্তারি পড়িয়েছি। এখন সে আমাকে মারধর করে। শেষ বয়সে মার খেতে চাই না। আমরা চাইছি ও এখান থেকে চলে যাক। অসুবিধা হলেও শান্তিতে থাকতে পারব।" অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর স্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি।