shono
Advertisement
Raniganj

খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণ, পাথর ছিটকে ভাঙল বাড়ি, রানিগঞ্জে ব্যাপক উত্তেজনা

নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনির দুর্ঘটনায় ডাম্পার, গাড়িতে ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 07:40 PM Nov 23, 2024Updated: 07:44 PM Nov 23, 2024

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: কয়লাখনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণের জেরে পাথর ছিটকে ভাঙল আশপাশে বাড়িঘর। শনিবার বিকেলের এই দুর্ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনি এলাকায়। পাথর ছিটকে এগাড়া গ্রামের সিং পাড়ার একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা নিয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ভাঙচুর চালাল খনি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পার ও গাড়িতে। পরে ভাঙচুর চলে খনি কর্তৃপক্ষের অফিসঘরেও।

Advertisement

উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালাল ডাম্পার ও গাড়িতে। ছবি:মৈনাক মুখোপাধ্য়ায়।

শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই রানিগঞ্জের এগাড়া গ্রামে বেজে ওঠে সাইরেন। এটি নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনির লাগোয়া এলাকা। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে উঠল সিং পাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি। ছাদে দুমদাম শব্দ। কারও বাড়ির টালি ভেঙে পড়ে। কারও অ্যাজবেস্টাস ফুটো হয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ল বড় বড় পাথরের চাঁই। সেসময় কেউ ঘুমাচ্ছিলেন, কেউ আবার বিকেলে বসে চা খাচ্ছিলেন বারান্দায়। আচমকাই সাইরেনের শব্দ এবং হুড়মুড়িয়ে ছাদ ভেঙে পড়ার দৃশ্য দেখে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবাই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকেন।

পরে জানা যায়, খোলামুখ খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যার জেরে বড় বড় পাথর গিয়ে পড়েছে গ্রামে এবং তার আঘাতে বাড়িঘর ভেঙেছে। এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। খনি এলাকায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পার ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ভয়ে খনি ছেড়ে পালিয়ে যান আধিকারিক ও কর্মীরা। এই এলাকাটি ইসিএল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার মধ্যে পড়ে। কেন যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে খনিতে ডিনামাইট ফাটানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি খনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামত করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • রানিগঞ্জে খোলামুখ খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণ।
  • পাথর ছিটকে ভাঙল আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি, ছাদ ভাঙল।
  • প্রতিবাদে খনি কর্তৃপক্ষের গাড়ি, ডাম্পারে ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার।
Advertisement