সৈকত মাইতি, তমলুক: এসআইআর শেষের ৩ মাসের মধ্যে বঙ্গে নির্বাচন! ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এমনটাই খবর জেলা প্রশাসন সূত্রে। রাজারহাটের পর আজ, কোলাঘাটে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকের পর স্থানীয় বিএলওদের সঙ্গেও বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সূত্র মারফত খবর, বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়েছে যেন কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায়।
বৃহস্পতিবার কোলাঘাটের বলাকা ভবনে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। উপস্থিত ছিলেন উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। তিনজেলা প্রশাসনের ডিএম, এসপি ও অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখানে আধিকারিকদের চূড়ান্ত প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কী পদ্ধতিতে কাজ হবে তাও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
এই বৈঠকের পর বিএলওদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাঁদের একাধিক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেছেন আধিকারিকারা। বৈঠকে আইটি নেটওয়ার্ক, বিএলও অ্যাপ কীভাবে কাজ করবে সেই সম্পর্কিত আলোচনা হয়। আজকে শুধুমাত্র আলোচনা হয়েছে। পরেরবার অ্যাপ নিয়ে ট্রেনিং হবে।
এসআইআর-এ আধার বৈধ কি না সেই বিষয়ে মুখ খোলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মনোজ আগরওয়াল। তিনি বলেন, "কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না। আধার নিয়ে আইনে যা আছে সেটাই হবে। যাঁদের শুধুমাত্র আধার কার্ড রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্য কোনও ডকুমেন্ট লিংক থাকতে হবে। ২০০২ সালের এসআইআরে যাঁদের নাম ছিল, যাঁরা সরকারি আধিকারিক তাঁদের কোনও ডকুমেন্ট লাগবে না।"
এই দিনের বৈঠকের সময় স্থানীয় ব্রাহ্মণ সমিতির পক্ষ থেকে সভাগৃহের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁদের হাতে 'এসআইআর বাতিল করতে হবে', 'এসআইআর মানছি না, মানব না'র, মতো প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই বিক্ষোভ ওঠে।
এদিকে বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে বিএলও-দের ডাকা বৈঠক নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেছেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তাঁর প্রশ্ন, "এখন তো ভোট নয়। এখনও কমিশনের অধীনে যায়নি রাজ্য। তবে কেন বিএলও-দের নিয়ে বৈঠক করছেন?” নাম না করে মমতার হুঁশিয়ারি, "বেড়ে খেলবেন না, দুর্নীতির অনেক অভিযোগ আছে, সময় হলে ঠিক প্রকাশ করব।"
