সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের ঝাড়গ্রামে বাঘের আতঙ্ক। বেলপাহাড়িতে মিলল পায়ের ছাপ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। দক্ষিণরায়ের হদিশ পেতে মরিয়া বনদপ্তর। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, তল্লাশি চলছে। আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ডিসেম্বরের শেষে বাঘিনী জিনাত ঘুম উড়িয়েছিল বাংলা ও ওড়িশার বনদপ্তরের আধিকারিকদের। ৯ দিন লড়াইয়ের পর চতুর্থ ঘুমপাড়ানি ঘুমে কাবু হয়েছিল জিনাত। তারপরই ফের শিরোনামে এসেছিল দক্ষিণরায়। দিন সাতেক আগে শোনা যায়, ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা খরসোয়া জেলার চাণ্ডিলের আশে পাশে ঘুরছে একটি পুরুষ বাঘ। তবে রেডিও কলার না থাকায় বনদপ্তর ওই বাঘটিকে ট্র্যাক করতে পারেনি। লোক মারফত বাঘের খবর চাউর হওয়ায় ট্র্যাক ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু তাতেও ধরা পড়েনি বাঘের ছবি। এসবের মাঝে রবিবার সকালে বেলপাহাড়ির শালজঙ্গলের ভিড়তে পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয়রা। যার দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি, প্রস্থ ১৪ সেমি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনকর্মীরা। শুরু হয় তল্লাশি। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, "ওই পায়ের ছাপ বাঘের তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তল্লাশি চলছে।"
ঝাড়গ্রামের মৈনাকডিতে বাঘের পায়ের ছাপ। ছবি: অমিতলাল সিং দেও
বাঘের ছাপ স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়িয়েছে স্থানীয়দের। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে জিনাতের ফেলে যাওয়া ডেরা রাইকা পাহাড়ের কাছে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগে বান্দোয়ান ১ বনাঞ্চল যমুনাগোড়ায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ দেখা যায়। তার খানিকটা দূরেই ঝাড়গ্রাম। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, একটি বাঘই পুরুলিয়া হয়ে ঝাড়গ্রামে প্রবেশ করে কয়েক পা এগিয়ে ফের পুরুলিয়া ফিরেছে। যদিও এবিষয়ে নিশ্চিত নয় বনদপ্তর।