অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: প্রয়াত সাঁকরাইলের প্রাক্তন বিধায়ক শীতল সর্দার। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ নিজের বাসভবনে অশীতিপর প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া।
শীতল সর্দার সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা পাঁচবারের বিধায়ক ছিলেন। প্রথমে কংগ্রেস ও তারপর চারবার তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। জানা গিয়েছে, একুশের নির্বাচনে শাসকদলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই জানিয়েছিলেন, আশি ঊর্ধ্ব কোনও জনপ্রতিনিধিকেই আর ভোটের লড়াইয়ে সামনে আনা হবে না। তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অব্যাহতি দেওয়া হবে। সেই সূত্র অনুযায়ী, বাদ পড়েন শিবপুরের প্রবীণ বিধায়ক জটু লাহিড়ী। দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। ক্ষুব্ধ বিধায়ক বিজেপি শিবিরে পা রাখেন। সাঁকরাইলের তৎকালীন বিধায়ক শীতল সর্দারও বিজেপিতে যোগ দেন।
তৃণমূল ছেড়ে আসা বর্ষীয়ান বিধায়ককে রাজ্য কমিটিতে জায়গাও করে দেয় বিজেপি। তবে তারপর থেকে আর তেমন সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি তাঁকে। খাতায় কলমে গেরুয়া শিবিরে থাকলেও, বরং ধীরে ধীরে 'সন্ন্যাস' নেন শীতল সর্দার। শারীরিক অসুস্থতায় বেশ কাহিল হয়ে পড়েছিলেন বিধায়ক। সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিল। বুধবার সন্ধ্যায় সব শেষ। জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তিনি। শীতল সর্দারের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
