স্টাফ রিপোর্টার: 'এ বি সি ডি' শিখতে হবে রাজ্যের নার্সদের! বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানাল স্বাস্থ্যদপ্তর। এই 'এবিসিডি' অবশ্য ইংরেজি বর্ণমালা নয়। এবিসিডি অর্থাৎ অ্যাটিটিউট (আচরণ), বিহেভিয়ার (ব্যবহার), কমিউনিকেশন স্কিল (মেশার দক্ষতা), ডেডিকেশন (আত্মত্যাগ)। চিকিৎসক আর রোগীর পরিবারের মধ্যে সেতুবন্ধন করেন নার্সরা। সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘটনায় পরিস্থিতিতে সেই সেতুকে আরও মজবুত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর তাই এই চার পয়েন্টে জোর দিতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের নার্সিং ব্রাঞ্চ একটি সার্কুলার জারি করে জানিয়েছে, রাজ্যে বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নার্সরা রোগীর পরিবারের সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করছেন না। তাদের আচরণগত ত্রুটি রয়েছে। কাজের মধ্যে অনুরাগ-আবেগের অভাব দেখা যাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। রোগীর পরিবারের জন্য আরও বেশি সহানুভূতিশীল হতে হবে। সেই জন্যই উপরোক্ত চার পয়েন্টে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। যার মধ্যে এক প্রসূতি ও এক সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরেই মুখ্যসচিবের নির্দেশে তদন্তে নামে সিআইডি।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বহু ক্ষেত্রে এখনও রোগীর স্বাস্থ্য নিয়ে অন্ধকারে থাকেন রোগীর পরিবার। নার্সদের কাছ থেকে যথাযথ তথ্য তাঁরা পান না। কোনও ওষুধ রোগীকে দেওয়ার আগে সেই ওষুধের ব্যাচ নম্বর, মেয়াদ উত্তীর্ণ কি না, তা দেখার দায়িত্ব নার্সদের। কিন্তু কয়েকজন নার্সের ঢিলেমির জেরে দায় গিয়ে পড়ছে চিকিৎসকের ঘাড়ে। সেই কারণেই স্বাস্থ্যদপ্তর মনে করছে, যাঁরা নার্স হবেন তাঁদের কাজের প্রতি আরও অনুরাগ, একাগ্রতার প্রয়োজন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোগীর পরিবারের সঙ্গে আরও নমনীয় হয়ে কথা বলতে হবে। আগামীতে কোনও নার্সের খারাপ ব্যবহার, কাজে ঢিলেমি নিয়ে রোগীর পরিবার যদি অভিযোগ করে, তদন্তে প্রমাণ মিললে তাঁর কঠোরতম শাস্তি হবে।