অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: মোবাইল বাবার কাছ থেকে চেয়েছিল নাবালিকা। কিন্তু বাবা মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। মোবাইল তাকে দেননি। সেই অভিমানে নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নাবালিকা। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহের গড়বাগান এলাকায়। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা নাবালিকা বছর সতেরোর ফারিয়া মিদ্দে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে মোবাইল ফোনটি তার বাবার কাছে চেয়েছিল ফারিয়া। বাবা সাহেব মিদ্দে ফোনটি না দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপরই অভিমানে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ফারিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ফারিয়াকে নিয়ে তার বাড়িতে অশান্তি চলছিল। বুধবার মোবাইল না পাওয়া সেই অশান্তিতে অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করে।
ফারিয়া সারাদিনই মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকত। মূলত সেই নিয়েই নিত্যদিন তার বাবা-মার সঙ্গে অশান্তি হত ফারিয়ার। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে তা ভাবতে পারেনি নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এদিন ঘটনার সময় ফারিয়ার মা বাড়িতেই ছিলেন কিন্তু তিনি সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এরই মধ্যে নিজের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মঘাতী হয় সে। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে নাবালিকার বাবাই তাকে ডোমজুড় গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর খবর যায় ডোমজুড় থানায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।