অর্ণব দাস, বারাসত: স্বামীর সঙ্গে অশান্তির পর দুই সন্তানকে নিয়ে বারাসতের বাপেরবাড়ি চলে আসেন স্ত্রী! ওই ঘটনার পর আট মাস পেরিয়েছে। কিন্তু তাঁরা বাড়ি ফেরেননি। এবার স্ত্রী, সন্তানদের বাড়ি ফেরাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন স্বামী। জামাইয়ের ধরনা বসার এই খবর জানাজানি হতেই জড়ো হন উৎসুক প্রতিবেশীরা। বুধবার বারাসতের অশ্বিনীপল্লী এলাকার এই ঘটনায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ার শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা বেচারাম মণ্ডল পেশায় গাড়িচালক। বছর ১৫ আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বারাসতের অশ্বিনীপল্লীর বাসিন্দা টিনামনির। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া, অশান্তি হত। সেই অশান্তির কারণে আগেও বহুবার বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। প্রতিবারই, কখনও বাপেরবাড়ির লোকজন, কখনও বেচারাম এসে বুঝিয়ে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে যেতেন বাদুড়িয়ার বাড়িতে।
আটমাস আগে স্বামীর সঙ্গে অশান্তির পর দুই সন্তানকে নিয়ে টিনামনি বাপেরবাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই ঘটনার পর থেকে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। বারাসত থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন টিনামনি। স্ত্রী, সন্তানদের ফিরে পেতে বেচারামও দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশের কাছে। কিন্তু সমাধান না মেলায় এদিন তিনি সটান চলে যান শ্বশুরবাড়ির সামনে। স্ত্রী এবং সন্তানদের ফিরে পেতে বেচারাম শুরু করেন ধরনা।
তিনি বলেন, "বিয়ের পর থেকে প্রতিমাসেই স্ত্রী বাপেরবাড়ি চলে আসত। আমারও তো সংসার আছে। আমি বুঝিয়ে নিয়ে যেতাম। গত ৮ মাস আগে চলে আসার পর আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। সন্তানদের সঙ্গেও দেখা করতে দিতে চাইছে না।" তাঁর প্রশ্ন, "আমি অত্যাচার করলে তো বিয়ের পরেই চলে আসত! কেন সেটা ১৫ বছর পর করতে হল?" এদিকে স্ত্রী টিনামনি এদিন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে সাফ বলেন, "দিনের পর দিন আমায় মারধর করত, অত্যাচার করত। সংসারের কথা ভেবে সহ্য করেছিলাম। কিন্তু আর অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না। আমি আর ওর সঙ্গে সংসার করতে চাই না।"
