জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা উত্তপ্ত। উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় সীমান্ত নিয়ে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে বিবাদও হচ্ছে। ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক কথাও বলছে বাংলাদেশ। এবার সেই বিষয়েই মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন সেনা জওয়ানরা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে শুধরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে প্রাক্তন সৈনিক সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় ৮ নম্বর অসম রাইফেল (রেজিমেন্ট) প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। ৬৫ সালের যুদ্ধে অনেকে অংশ নিয়েছেন। অনেকে আবার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বাংলাদেশের এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। আরও মেনে নিতে পারছেন না ভারতের প্রতি এই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য।
মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন সেসময়ের ভারতীয় সৈনিক রঞ্জিত বিশ্বাস। তিনি এখন প্রাক্তন সৈনিক সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের একাধিক প্রাক্তন সেনা ভারতের একাধিক জায়গা দখলের কথা বলছেন| আপনারা সংযত হন, শুধরে যান। কারণ বর্তমান সেনার দরকার নেই। আমরা প্রাক্তন সেনারা যদি মনে করি, বাংলাদেশ দখল করতে পারি।" তিনি আরও বলেন, "আমরা সেটা কখনও বলি না। কারণ, যাদের আমরা জন্ম দিয়েছি, তাঁদের সম্পর্কে আমরা এমন কথা বলা ঠিক মনে করি না।"
৬৫ সালের যুদ্ধে এক সৈনিক জম্মু-কাশ্মীরের ছিলেন। ৭১ সালের যুদ্ধের সময় লেহ শহরে পোস্টিং ছিল তাঁর। জানান, বাংলাদেশ সংক্রান্ত কোনও খবর তিনি দেখেন না। এই ইস্যুতে খবর শুনলেই রাগে উত্তেজিত হয়ে যান তিনি। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিমে ছিলেন মন্টুকুমার রায়। তিনি সেসময় প্রচুর রক্ত দেখেছেন। দুপক্ষের বহু সৈনিক সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের অতীতের ঘটনা হয়তো আর স্মরণে নেই। কীভাবে তাঁরা স্বাধীনতা পেয়েছিল।"
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের বহু সঙ্গী শহিদ হয়েছিলেন। প্রাক্তন ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বক্তব্য, বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ বদলে গিয়েছেন। যারা সেই ঘটনা অস্বীকার করছেন, তাঁরা বোকা।