গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: কেউ ভারতে রয়েছেন পাঁচবছর, কেউ ২ বছর, কেউ আবার অনেক বেশি। তবে তাঁরা সকলেই অনুপ্রবেশকারী। বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করেছিলেন ভারতে। তারপর এদেশেই পাকাপাকিভাবে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বাদ সাধল এসআইআর। রাজ্যজুড়ে এসআইআর চালু হতেই ফের বাংলা ছাড়ার হিড়িক অনু্প্রবেশকারীদের। ফলে প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে ফাঁকা হচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন বসতি।
বাংলাজুড়ে চলছে এসআইআর অর্থাৎ ভোটার তালিকা ঝাড়াই-বাছাই। ভুয়ো ও মৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, যাদের ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে, বা পরিবারের কারও নাম রয়েছে, তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই এসআইআর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত গত কয়েকবছরে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে ভারতে আসা বাংলাদেশিরা। কারণ, ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করলেও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের বা পরিবারের কারও নাম নেই। ফলে বাংলাদেশে ফিরতেই হবে বলে ধরে নিয়েছেন অনেকেই। সেই কারণেই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বাংলাছাড়ার হিড়িক।
জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর চেকপোস্ট হয়ে গত কয়েকদিনে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ বাংলাদেশ ফিরেছেন। তবে শুধু হাকিমপুর নয়। এসআইআর আবহে রাজ্যের প্রায় সমস্ত সীমান্তগুলোর ছবিই এক। রাতের অন্ধকারে যারা নিজের দেশ ছেড়েছিলেন, পরিস্থিতি জটিল বুঝে ফের তাঁরা ঘরে ফেরার চেষ্টায়। আইনি জটিলতায় দেশছাড়া হওয়ার আগে নিজেরাই দেশে ফিরতে মরিয়া সকলে। ফলে রাতের অন্ধকারে একাধিক এলাকা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বলেই খবর।
