শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। তার দুদিনের মাথায় সুবিচার পেল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির নাবালিকা। তার কাকাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির পকসো আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দোষীর। নাবালিকাকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য লিগাল এড সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনা গত ২০২১ সালের। ধূপগুড়ির বাসিন্দা নাবালিকা তার কাকার যৌন লালসার শিকার হয়। তাকে ধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ। মুখ বন্ধ রাখার জন্য ভয় দেখানোও হয় নাবালিকাকে। যদিও কয়েকদিনের মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়। ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তড়িঘড়ি নাবালিকার কাকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বছর তিনেক ধরে চলে শুনানি।
মোট ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সবদিক খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত কাকাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বুধবার জলপাইগুড়ি পকসো আদালত দোষীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এছাড়া দোষীর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং নাবালিকার পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য লিগাল এড সার্ভিসকে নির্দেশ দেন বিচারক। চার বছর পর সুবিচার পেয়ে খুশি নাবালিকার পরিবারের লোকজন।