রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: চা বলয়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের পথে? আগামী ২৩ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রিত প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। সেই সভায় তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে 'সংবাদ প্রতিদিন'কে টেলিফোনে জানিয়েছেন তিনি। আর তাতেই জোর জল্পনা, তবেই কি গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার পর তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিচ্ছেন চা শ্রমিকদের কাছে জনপ্রিয় নেতা জন বার্লা? যদিও এসব জল্পনা এড়িয়ে বার্লার দাবি, "ওটা সরকারি অনুষ্ঠান। সেখানে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি ও আমার লোকজন ওখানে যাব। ডুয়ার্সের নানা দাবি আছে। হাসিমারা এয়ারপোর্ট নিয়ে কথা বলব। উনি মুখ্যমন্ত্রী। ওঁকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়।" তবে কি তৃণমূলে যোগ দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জন বার্লা বললেন, "দেখুন কী হয়! আমার অনেক ইস্যু আছে। দাবি আছে। ডুয়ার্সের উন্নয়নের দাবি। আর আমি একা নই। আমার সঙ্গে অনেকেই আছেন।"
এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন জন বার্লা। দিল্লির এইমসে ভর্তি রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। শোনা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আর তাই বুধবার দিল্লি থেকে বিমানে আলিপুরদুয়ারে ফিরে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন বিজেপির প্রাক্তন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা বিতর্কিত নেতা জন বার্লা। দিল্লি থেকে মঙ্গলবার টেলিফোনে তা জানিয়েছেন জন বার্লা। আর তার এই ঘোষণায় জন বার্লার তৃণমূলে যোগের সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে।
জন বার্লার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে এত জল্পনার কারণ অবশ্য যথাযথ। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তৎকালীন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। ২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে তিনি পদ্মের টিকিটে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তারপরে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করে বিজেপি। কিন্তু ২০২৪ সালে তাকে বিজেপি টিকিট না দেওয়ায় বিজেপির সঙ্গে তাঁর বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে মনোজ টিগ্গাকে বিজেপি টিকিট দিলে মনোজের সঙ্গে বিরোধে নামেন জন বার্লা। তাহলে এবার কি বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করছেন তিনি? সেই জল্পনা এখন তুঙ্গে।