নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের চিনা মাঞ্জায় আক্রান্ত এক ব্যক্তি। সিউড়িতে এক ব্যক্তির গলা কাটল চিনা মাঞ্জায়। গলায় সেলাই পড়ে। পাশাপাশি, সুতোয় আটকে থাকা একটি লক্ষ্মী প্যাঁচা উদ্ধার করল এক প্রাণী বিশেষজ্ঞ। সদর মহকুমা শাসক সুপ্রতীক সিনহা জানান, "এমনিতেই চিনা মাঞ্জার সুতো ব্যবহার নিষিদ্ধ। আমরা কয়েকদিন ধরে দোকানে, দোকানে অভিযান চালাচ্ছি। কয়েকজন দোকানদারকে সতর্ক করা হয়েছে। ফের অভিযান জোরদার করা হবে।"
জানা গিয়েছে, বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিউড়ির প্রভাত দাঁ। সেই সময় রাস্তায় দুপাড়ে চিনা মাঞ্জা গোটাচ্ছিল দুই কিশোর। সেই সুতো গলায় লেগে পড়ে যান প্রভাতবাবু। গলায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়। সঙ্গে থাকা বন্ধু তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কয়েকটি সেলাই পড়ে তার গলায়। তিনি জানান, "বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় চিনা মাঞ্জার কবলে পড়ি। কিছু ছেলে রাস্তার পাশে দুপাড়ে দাঁড়িয়ে সুতো গোটাচ্ছিল। সেই সুতো গলায় লেগে আমি পড়ে যাই। সঙ্গে ছিল সহকর্মী সুব্রতদা। তিনি আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে প্রভাতবাবু সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, 'সুব্রতদার জন্য বেঁচে গেলাম। এই সময় বাইকে বা সাইকেলের সামনে কখনও বাচ্চাদের বসাবেন না।' একইসঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে রাস্তায় চলাচলের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, সিউড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সেহেড়াপাড়া এলাকায় ধর্মতলার কাছে একটি আহত প্যাঁচাকে উদ্ধার করেন প্রাণী বিশেষজ্ঞ দীনবন্ধু বিশ্বাস। তাঁর কথায়, "লক্ষ্মী প্যাঁচাটি ঘুড়ির সুতোয় আটকে ছিল। সুতোটি চিনা মাঞ্জার। যার জেরে প্যাঁচাটির ডানা জখম হয়। তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে অনুকূল পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।" বিভাগীয় বনাধিকারী রাহুল কুমার বলেন, "দুসপ্তাহ আগেই আমি জেলার সব রেঞ্জারকে এ নিয়ে সতর্ক করেছি। তাতে শুধু চিনা মাঞ্জার সুতো নয়, কিছু জায়গায় অদৃশ্য নেট লাগিয়ে রাখা হচ্ছে পাখি ধরতে। এই সময় বীরভূমের বহু জায়গায় পরিযায়ী পাখি এসে জলাশয়ে আশ্রয় নিয়েছে। কোথাও ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"